করিমপুরের ফলাফল নির্ধারিত হবে “ফেয়ার ভোটেই!” প্রমাণ দিচ্ছে সি-ভিজিল অ্যাপ নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য November 27, 2019 পৌরসভা হোক বা বিধানসভা, লোকসভা হোক বা পঞ্চায়েত, প্রায় সমস্ত স্তরের নির্বাচনেই বাংলায় অভিযোগের বহর জমা পড়ে কমিশনের কাছে। নির্বাচনের শেষে অভিযোগের বহর দেখে তার সমস্যা সমাধান করতেই রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে কমিশনের আধিকারিকদের। তবে সদ্য সমাপ্ত রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দু’একটি অশান্তির ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবুও সেই দু-একটি অশান্তির ঘটনায় শাসক-বিরোধী দুই দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে আঁচ করা গিয়েছিল। কিন্তু না। করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে সি-ভিজিল অ্যাপে একটিও অভিযোগ না আসায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল। শুধু সি-ভিজিল অ্যাপ নয়, এমনিতেও এই করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে অভিযোগের বহর অনেকটাই কমেছে বলে খবর। গত 2016 বিধানসভা বা তারপর 2019 সালের লোকসভায় যে পরিমাণ অভিযোগ পড়েছিল, তার থেকে অনেকটাই এবারের নির্বাচনে অভিযোগ কমে আসায় রীতিমতো সন্তোষ প্রকাশ করছেন একাংশ। সূত্রের খবর, এই করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় 232 টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ জানানোর জন্য যে সি-ভিজিল অ্যাপ চালু করা হয়েছিল, সেই সি-ভিজিল অ্যাপে অভিযোগের সংখ্যা শূন্য থাকায় নানা মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, এই অ্যাপকে নিয়ে যথাযথ সচেতনতার অভাব ছিল। এমনকি এই অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল। তাই সেই কারণে এভাবে কেউ এই অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে চায়নি। তবে মোটের উপর সার্বিকভাবেও 232 টির মত অভিযোগ জমা পড়ায় এবারে যে করিমপুরে ভোট অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন সকলেই। তবে যে 232 টি অভিযোগ জমা পড়েছে, সেখানে কোন দল সব থেকে বেশি অভিযোগ জানাল! জানা গেছে, তৃণমূল এবং বিজেপির অভিযোগ জানানোর বহর সবথেকে বেশি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন সংক্রান্ত সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “232 টি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। যা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” এদিন এই প্রসঙ্গে এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “এর আগে বিধানসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসারদের কাছেও ফোনের পর ফোনে অভিযোগ আসত। এই বছর তাদের কাছেও অভিযোগ প্রায় আসেনি বললেই চলে।” তবে এই ব্যাপারে কি বলছেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “ভোট ভালো হয়েছে। বিজেপি কিছু মিথ্যা অভিযোগ করেছে। অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।” অন্যদিকে সি-ভিজিল অ্যাপে একটিও অভিযোগ জমা না পড়ায় নদীয়া উত্তরের বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “সি-ভিজিলে অভিযোগ করা সময় সাপেক্ষ। সবসময় সম্ভব নয়। আমাদের কাছে 1950 বেশি সুবিধার মনে হয়েছে। সেখানেই অভিযোগ জানানো হয়েছে।” সব মিলিয়ে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলে কে জিতবে, তা প্রমাণ হয়ে যাবে। তবে মোটের উপর ভোট যে শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তা অভিযোগের বহর কম জমা পড়াতেই প্রমাণ হয়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -