প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনো কুনাল ঘোষ, কখনো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। তবে, তাঁকে দলে নিতে ঘোরতর আপত্তি ছিল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দিতেই ফের বোমা ফাটালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত দুর্নীতিপরায়ন লোককে কেন দলে নেওয়া হয়েছে?

আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল প্রত্যাবর্তনের পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনের সময় ডোমজুড়ের এক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন-চারটি বাড়ি আছে গড়িয়াহাটে। দুবাইতে তাঁর টাকার লেনদেন চলছে। এর পরেও কেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে নেয়া হলো? তা দলের শীর্ষ নেতৃত্বই বলতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় বলেছিলেন যে, দলের কোনো কর্মীর মনে আঘাত লাগতে পারে, তাই কোন বিশ্বাসঘাতককে দলে নেওয়া হবেনা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তিনি নিজেও দলের একজন কর্মী, সাংসদ তো নিশ্চয়ই। তৃণমূলে থাকতে হলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা মেনে চলতে হবে। তাঁকেও সেভাবেই চলতে হবে। তবে তিনি জানেন না, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যাবের মত একজন টপ টু বটম দুর্নীতি পরায়ন লোককে কেন দলে নেওয়া হয়েছে?

এভাবেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড়সড় বোমা পাঠালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দলে ফেরাবার বারবার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। জানা যায়, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশ কিছু নেতার বিরোধিতার কারণেই এতদিন পর্যন্ত তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন নি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বারবার একাধিক নেতার দুয়ারে ঘুরতে দেখা গেছে তাকে।

তবে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলে নেবার পর যেভাবে বোমা ফাটালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তা থেকে অনেকেই গোষ্ঠী কোন্দলের অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছেন। বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে বিজেপিতে যোগদান করে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবার বিস্ফোরক বক্তব্য রেখেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে তাঁকে দলে নেওয়া হলে, দলের গোষ্ঠী কোন্দল যথেষ্টভাবে বাড়তে পারে বলেই, অভিজ্ঞ মহলের দাবি।