এখন পড়ছেন
হোম > Uncategorized > আহা, কি কষ্ট! ইডির অ্যাকশনে কুপোকাত অভিষেক! ফের সেই ঘ্যানঘ্যান শুরু!

আহা, কি কষ্ট! ইডির অ্যাকশনে কুপোকাত অভিষেক! ফের সেই ঘ্যানঘ্যান শুরু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-ফের ইডির তলবের মুখে পড়লেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী 13 তারিখ তাকে জেরায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তলবের পর থেকেই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছেন বাংলার যুবরাজ। অর্থ্যাৎ যে অভিযোগ তিনি বারবার করেন, এবারও তিনি সেই একই অভিযোগ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি দাবি করেছেন যে, সেদিন ইন্ডিয়া জোটে যে সমন্বয় কমিটি, তার বৈঠক রয়েছে। ফলে সেই দিন তাকে ডাকাটা একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কিভাবে চলবে, কোনোদিন তাকে ডাকবে, সেটাও কি বাংলার যুবরাজ ঠিক করে দেবেন?

প্রসঙ্গত, বিজেপি বিরোধীতায় দেশে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। সেখানে আবার সেই জোটের সমন্বয় কমিটিতে আরও অনেকের পাশাপাশি রয়েছেন এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী 13 তারিখ সেই ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক রয়েছে। আর সেদিনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের মুখে পড়েছেন অভিষেকবাবু। যার ফলে তিনি এখন অতীতে যখনই তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডেকেছে, তখনই তিনি যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছেন, এবারও তিনি সেই একই অভিযোগ করছেন। যা দেখে অনেকে বলছেন, এসব অভিযোগ করার দিন শেষ। এবার তদন্তে সহযোগিতা করা উচিত। তা না হলে ফল খুব একটা ভালো হবে না। যার বিরুদ্ধে এক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ খুলে তিনি নাকি ফাঁসির মঞ্চে চড়ে পড়বেন বলে দাবি করেন, তার তদন্ত সহযোগিতা করতে এত অসুবিধে কোথায়! তার কাছে রাজনৈতিক কর্মকান্ড আগে, নাকি যে দুর্নীতি হয়েছে, তার যে তদন্ত চলছে, সেখানে সহযোগিতা করা আগে?

বিরোধীদের দাবি, যুবরাজের এই ঘ্যানঘ্যানে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে আটকানোর জন্য তৈরি ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটিতে তিনি। কত বড়ই না ব্যাপার! তাই সেই জোটের বৈঠক হবে, আর তিনি উপস্থিত হতে পারবেন না! তাই এখন ইডির তলবের পেছনেও রাজনৈতিক কারণ খুঁজতে শুরু করেছেন যুবরাজ। কিন্তু সকলের ওই একটাই প্রশ্ন, ইডি কি তার কোনো ঘনিষ্ঠ আত্মীয় নাকি! কখন তার দরজায় কড়া নাড়বে, কখন তাকে ডাকবে, সব আগে থেকে জানিয়ে দেবে! অনেকে আবার সুরকে সপ্তমে চড়িয়ে বলছে, এসব ডাকাডাকি অনেক হলো। এবার পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন। অবিলম্বে এই যে তদন্ত চলছে, তার দাড়ি টানতে মূল মাথাদের গ্রেফতার করা উচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব তৃণমূলের চাপ আরও বাড়িয়ে দিল। সর্বভারতীয় স্তরে এখনও অনেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “সততার প্রতীক” বলে ভাবেন। কিন্তু দুর্নীতির জালে তার দলের অনেকেই জড়িয়ে পড়েছে। আর এবার ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব সেই ইন্ডিয়া জোটকে যেমন বিপাকে ফেলে দিল, ঠিক তেমনই চাপ বাড়ালো ঘাসফুল শিবিরের। এখন তৃনমূলের কাছে জোটধর্ম রক্ষা করা অপেক্ষা যুবরাজের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরা থেকে বেড়িয়ে আসাই বড় লক্ষনীয় বিষয়। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!