এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ২৪ এ কাঁদতে হবে মমতাকে! ভোট লুটের হিসাব নিতে তৈরি সাধারণ মানুষ! সাফ হবে তৃনমূল!

২৪ এ কাঁদতে হবে মমতাকে! ভোট লুটের হিসাব নিতে তৈরি সাধারণ মানুষ! সাফ হবে তৃনমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা, স্থানীয় নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে কিভাবে ভোট হয়, তা সকলেই জানেন। সন্ত্রাস, কারচুপি এমনকি ভোট গণনার দিনেও রায় নিজেদের দিকে আনতে সব চেষ্টা করে রাজ্যের শাসকদল। তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে সাধারণ মানুষের ভোট কেড়ে নিয়ে কয়েকটা দিন ক্ষমতা ভোগ করা যায়। কিন্তু একদিন সেখানে বদল আসবেই। তাই পঞ্চায়েতে রাজ্যের শাসক দল যেভাবে ভোট লুট করেছে, তার জবাব তারা আগামী লোকসভায় পাবে বলে আত্মবিশ্বাসী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী‌। প্রতিটি সভাতে গিয়েই তিনি বলছেন, আগামী লোকসভায় এই বাংলা থেকে বিজেপিকে বিপুল আসন দিয়ে তৃণমূলের ভোট লুঠের জবাব দিতে হবে।

অনেকে প্রশ্ন করছেন, বিজেপির সেই সংগঠন কই! যা দেখে তাদের ভোট দেবে সাধারন মানুষ! তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষ বিকল্প খুঁজছে। তবে বিজেপির তেমন কোনো মুখ না থাকায় বাংলায় তাদের উপর ভরসা করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ট মহলের দাবি, বিজেপি একটি সাংগঠনিক দল। তাদের কাছে নির্দিষ্টভাবে কোনো মুখ নেই। তাদের কাছে একটাই মুখ, সেটা নরেন্দ্র মোদী এবং তার উন্নয়ন। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যে বেকারত্ব থেকে শুরু করে দুর্নীতি করছেন, এমনকি গণতন্ত্রকে হরণ করেছেন, তাতে তার বিরুদ্ধে লোকসভায় সাধারণ মানুষ যে জবাব দেবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। যে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের কথা বলে বাম আমলে লড়াই আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার আমলে গণতন্ত্রের একি হাল! তাই নিজের ভোটটুকু যাতে সাধারণ মানুষ নিজে দিতে পারে, আর সঠিক ভোট হলে যে বাংলায় তৃণমূলের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, তা লোকসভাতেই প্রমাণিত হবে বলে দাবি বিরোধী শিবিরের।

একাংশ বলছেন, গত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে 2018 এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রভাব পড়েছে। কারণ সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয়নি রাজ্যের শাসক দল। এমনকি গণনা কেন্দ্রেও কারচুপি করা হয়েছে। একইভাবে 2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সেই সন্ত্রাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ মুখিয়ে রয়েছেন আগামী লোকসভায় তার জবাব দিতে। ভোট না দিতে পারার যে যন্ত্রনা তাদের মধ্যে রয়েছে, তাতে তারা বিজেপিকে সমর্থন করে তৃণমূলকে জবাব দেবেন বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।‌

বিশেষজ্ঞদের মতে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিজেপি যেভাবে বাংলাকে টার্গেট করেছে, তাতে তারা তার ধারে কাছে পৌঁছে যেতে পারে। তবে তার জন্য বিজেপিকে অনেকটাই পরিশ্রম করতে হবে। সংগঠনকে আরও বেশি করে পরিণত করে তুলতে হবে। দায়িত্ব দিতে হবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাহলেই রাজ্য জুড়ে বিজেপি আরও ব্যাপক সংখ্যক আসনের টার্গেট নিয়ে বাংলায় ঝাপাতে পারবে এবং তাদের সেই আশা পূর্ণ হবে। কারণ রাজ্য বিজেপির মধ্যে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীকেই বাংলার সাধারণ মানুষরা বেশ ভালোমতো গ্রহণ করেছে। তাই তাকে দিয়েই বাজিমাত করতে হবে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহদের। আর যদি বিজেপিতে ঠিক মতো ব্যাটিং করতে পারেন শুভেন্দুবাবু, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম তিনি একাই উড়িয়ে দিতে সক্ষম। ভোট দিতে না পারার যে যন্ত্রনা সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে, তাকে কি করে বাড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করাতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই সেই ফর্মুলাকে কাজে লাগিয়ে কার্যত লোকসভায় বাংলা থেকে তৃণমূলকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে একাই যথেষ্ট শুভেন্দু অধিকারী। তখন ইন্ডিয়া জোটে নেতৃত্ব দেওয়া বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অনেক দূরের কথা, বাংলাতেই গুটি কয়েক আসন হামাগুড়ি দিয়ে খুঁজতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। অন্তত তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!