এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশের অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করার প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ পরিকল্পনা

দেশের অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করার প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ পরিকল্পনা

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ছে প্রায় প্রতিদিন। বিভিন্ন দেশে মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে দেশগুলি প্রায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও করনা সংক্রমণের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। তড়িঘড়ি করোনা সংক্রমণকে আটকানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত 24 মার্চ থেকে শুরু হয় দেশজুড়ে লকডাউন। যথারীতি মানুষ হয়ে পড়ে গৃহবন্দী। অফিস, কাছারি, ব্যবসা-বাণিজ্য সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে যায় এবং দেশের অর্থনীতিতে লাগে এক জোর ধাক্কা।

2019 এর শেষের দিকে ধারণা করা হয়েছিল, দীর্ঘদিন পর এবার হয়তো ভারতীয় অর্থনীতিতে কিছুটা জোয়ার আসবে। কিন্তু সে সম্ভাবনাকে ক্রমশ ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চলেছে করোনা ভাইরাস এর জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনা মোকাবিলার ডাক দিয়েছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের একটি বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থাপনায়। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেন 21 দিনের লকডাউন মেটার পর দেশের প্রতিটি মন্ত্রককে 10 দফা সিদ্ধান্ত চিহ্নিত করে তার ওপর কাজ করতে হবে।

পরিস্থিতি বিচার করে দশটি এলাকা চিহ্নিত করতে হবে এবং দেখতে হবে সেখানে যেন সমস্ত রকম পরিষেবা পৌঁছানো যায়। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরামর্শ দিয়েছেন, বাইরের দেশের ওপর বিভিন্ন পণ্যের জন্য নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই যাতে সেইসব পণ্য উৎপাদন হয়, সেদিকে এবার যথেষ্ট নজর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পটির নাম দিচ্ছেন মেক ইন ইন্ডিয়া। লকডাউন এর শুরু থেকেই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল।

খাদ্যদ্রব্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেবার জন্য এবার সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় ত্রাণ প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কিছু ক্ষেত্রে কর জমার সময়সীমা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের কিছু সুবিধা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুর্গতদের জন্য প্রথম পর্যায়ের যে ত্রাণ ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তা যথেষ্ট নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম পক্ষের ত্রাণ ব্যবস্থায় লকডাউন এর জেরে যেসব দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা বিপদে পড়েছিলেন তাঁদের সাহায্য করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এবার দ্বিতীয় ত্রাণ প্রকল্পের ক্ষেত্রে সাহায্য করা হবে করোনাভাইরাস এবং লকডাউন এর জেরে দেশের যেসব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি অর্থনৈতিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে তাদের। তবে সূত্রের খবর, গরিব মানুষের সুরাহার জন্য আরও কিছু সুবিধা ঘোষণা করা হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে একটি এমপাওয়ার্ড গ্রুপ তৈরি হয়েছে এই পুরো পরিকল্পনা রূপায়ণ করতে। এবং এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আর্থিক বিষয়ক সচিব অতনু চক্রবর্তী।

দেশে করোনার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির জেরে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোট-মাঝারি শিল্প, বিমান, কৃষি, হোটেল এবং পর্যটনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলি। এই ক্ষেত্রগুলিকে এবার উজ্জীবিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হতে চলেছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রতিটি মন্ত্রককে একটি বিজনেস কন্টিনিউটি পরিকল্পনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে। তিনি এই বৈঠকে জানিয়েছেন, এই সমস্যা থেকে বের হবার জন্য সমাধান বের করতে হবে। একদিকে যেমন করোনা সংক্রমণ আটকাতে লকডাউন চলছে, সেরকম লকডাউন এর কারণে চাষিরা ফসল তুললেও তা পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধের জন্য বাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছেন না।

এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী একটি সমাধান সূত্র নিয়ে এসেছেন। যদি কোন অ্যাপ নির্ভর গাড়ি লকডাউন এর মধ্যে চালানো হয়, তাহলে চাষিরা খুব সহজেই বাজার পর্যন্ত তাঁদের ফসল নিয়ে যেতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের অর্থনীতিকে আবার সজীব করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত জানা নেই, এই করোনা সংকট কতদিনে কাটবে ভারতের বুক থেকে। তবে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য, যেভাবেই হোক লকডাউন জারি করে করোনা সংক্রমণকে আটকানো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!