এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার কৃষকদের টাকা না পাঠানোর আর্জি নিয়ে মোদিকে চিঠি দিলীপ ঘোষের, কারণ জেনে নিন

বাংলার কৃষকদের টাকা না পাঠানোর আর্জি নিয়ে মোদিকে চিঠি দিলীপ ঘোষের, কারণ জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আর্থিক সাহায্য দেওয়া নিয়ে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের দ্বৈরথ নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই দুই সরকারের মধ্যে দড়ি টানাটানি লক্ষ্য করা গেছে। আয়ুষ্মান ভারত থেকে শুরু করে কিষান সম্মান নিধি, বিভিন্ন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে রাজ্য যেমন দাবি করেছে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদের সাহায্য করা হচ্ছে না, ঠিক তেমনই কেন্দ্রের শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টির বাংলার প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হলেও, তা ঠিকমত কাজে লাগাচ্ছে না রাজ্য সরকার।

এক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ করতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তবে তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সম্পর্কে কিছুটা হলেও উন্নতি হবে বলে মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু উন্নতি হওয়া তো দূরের কথা, এবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের অংশ হিসেবে রাজ্যকে যাতে কোনো সাহায্য দেওয়া না হয়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আবেদন করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপ ঘোষের এই চিঠিকে কেন্দ্র করে এখন নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেখানে কেন্দ্রের কৃষকরা পরিষেবা পাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে, সেখানে কেন তাতে এভাবে বাধা দান করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি! এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। একাংশ বলছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি আশঙ্কা করছেন, এই প্রকল্পে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার বদলে তা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হতে পারে। তাই তার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। যাকে সদর্থক বলে আখ্যা দিচ্ছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি পাঠান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা রাজ্যে পাঠানো হলেও, তা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হতে পারে বলে নিজের আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন তিনি। চিঠিতে দিলীপ ঘোষ লেখেন, “রাজ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে 23 লক্ষ কৃষক নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন করলেও, প্রথম দফার টাকা পেয়েছেন 7 লক্ষ চাষী। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি টাকা পাওয়ার জন্য বাংলা থেকে 40 লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সবার নাম এখনও ভেরিফাই হয়নি ” ।

অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট যে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাহায্য প্রদান করা হলেও, রাজ্য সরকার তা সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে না। তাই সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করেই যাতে কেন্দ্র এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার জন্য আবেদন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই এই রকম করে চিঠি পাঠানোয় নানা মহলের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এটাই বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। যেনতেন প্রকারেণ বাংলাকে আর্থিক সাহায্য না দিয়ে তারা যে প্রতিমুহূর্তে অবহেলা করে, তা আরও একবার প্রমান হয়ে গেল। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যখন সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কাজ করছে, তখন ক্ষমতা দখল করতে না পেরে কেন্দ্রের কাছে এই রকম চিঠি দিয়ে রাজ্যের কৃষকদের সর্বনাশে ফেলতে চাইছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলে দাবি করছে ঘাসফুল শিবির।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, দিলীপ ঘোষ এভাবে প্রকাশ্যে কেন্দ্রের কাছে চিঠি দেওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে আরও বেশি করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনিতেই বিজেপি এবারের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তারা বাংলার প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করছে বলে অভিযোগ একাংশের। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অংশ হিসেবে সাহায্য দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে টাকা দেওয়া বন্ধ করার জন্য দিলীপ ঘোষের আর্জি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

এর ফলে জয়লাভ করতে না পারার কারণেই কি বিজেপির রাজ্য সভাপতি এইরকম উদ্যোগ নিলেন! সেই বিষয়টি যেমন প্রশ্ন আকারে উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই রাজ্য সরকারের দুর্নীতি ও দিলীপ ঘোষের চিঠির মধ্যে দিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে। সব মিলিয়ে কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দিলীপ ঘোষের এই চিঠি গোটা পরিস্থিতিকে কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!