এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলবদল করে কি তৃণমূল বিধায়ক সুবিধা করে দিল শাসক শিবিরে? বিজেপির অন্দরে জমছে চাপা ক্ষোভ

দলবদল করে কি তৃণমূল বিধায়ক সুবিধা করে দিল শাসক শিবিরে? বিজেপির অন্দরে জমছে চাপা ক্ষোভ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকালই শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। যথারীতি এই দল ছাড়ার পেছনে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অবশ্য শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এর আগে কংগ্রেসে ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি দলবদল করে তৃণমূল এসেছিলেন এবং এবার তিনি গেলেন গেরুয়া শিবিরে। যথারীতি তৃণমূলের কেউ কেউ অরিন্দম ভট্টাচার্যকে পরিযায়ী বলে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু এবার সমস্যা অন্যত্র। অরিন্দম ভট্টাচার্য গেরুয়া শিবিরের যাওয়ার ফলে রাজ্য বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ। অন্যদিকে শান্তিপুরের তৃণমূল শিবির থেকে বলা হচ্ছে অরিন্দম ভট্টাচার্য চলে যাওয়ায় আদতে শান্তির পরিবেশ ফিরে এলো সংগঠনে।

তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই দলে গন্ডগোল, অশান্তি লেগেই ছিল। মূলত অরিন্দম ভট্টাচার্যের সঙ্গে গন্ডগোল লেগেছিল শান্তিপুরের পুর প্রশাসক অজয় দের। এই গন্ডগোল মেটাতে শেষ পর্যন্ত মাথা ঘামাতে হয় রাজ্য নেতৃত্বকেও। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। খুব স্বাভাবিকভাবেই শান্তিপুরের দুই তৃণমূল নেতার ঝামেলা নিয়ে বারংবার বিব্রত হতে হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। সুতরাং অরিন্দম দল ছাড়ায় কিছুটা হলেও শান্তিপুরের তৃণমূল শিবিরের একাংশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু অরিন্দম ভট্টাচার্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এবার পাল্টা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শান্তিপুর হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পাড়ায় 2018 সালের 23 শে মে গভীর রাতে খুন হন বিজেপি বুথ সভাপতি বিপ্লব সিকদার। বিপ্লবের পরিবারের অভিযোগ, এই খুন হয়েছিল তৎকালীন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের নির্দেশেই। অরিন্দম যখন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছে, তখন এখানে বিপ্লব শিকদারের পরিবার থেকে ক্ষোভ উগরে দেওয়া চলছে অরিন্দমের বিরুদ্ধে। বিপ্লব শিকদারের বাড়ির প্রতিটি লোক জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি ছিলেন বিজেপির বিপ্লবের খুনের নেপথ্যে, সেই ব্যক্তিকে শেষ পর্যন্ত দলে দেখা সম্ভব নয়। তাই তাঁরাও যে যেকোনো দিন বিজেপি দল ত্যাগ করতে পারেন সে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

খুব স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবির পড়েছে চূড়ান্ত ফাঁপড়ে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন, এই পরিস্থিতিতে কাউকেই হারাতে নারাজ গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি নিজেদের সংগঠনকেও আরো শক্তিশালী করতে তৎপর বিজেপি। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন তৃণমূল শিবির থেকে যেভাবে নেতা-মন্ত্রীরা এসে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করছেন তা কিন্তু বিজেপির বুথ স্তরে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সেই ক্ষোভের প্রকাশ হতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সময়। এবার দেখার শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের গেরুয়া শিবিরে যাওয়া কি আদৌ ফলপ্রসূ হবে বিজেপির ক্ষেত্রে, নাকি তৃণমূলের সুবিধা করে দিল এই দলবদল?

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!