এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন্দ্রের টাকায় মাতব্বরি রাজ্যের, মমতার দিন শেষ ? এবার সবটাই করবে কেন্দ্র !

কেন্দ্রের টাকায় মাতব্বরি রাজ্যের, মমতার দিন শেষ ? এবার সবটাই করবে কেন্দ্র !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে, আর সেই টাকা রাজ্য অপচয় করছে। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা, বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে বিরোধীরা। শুধু কি তাই! শিক্ষাতেও নিজেদের নিয়ম-নীতি মত চলতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে শিক্ষা দপ্তর কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারের ওপর নির্ভর করে চলে। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকার সিংহভাগ অর্থ প্রদান করে, সেখানে রাজ্যের এই খামখেয়ালিপনা হয়তো এবার বন্ধ হতে চলেছে। শিক্ষা দপ্তরকে লাটে তুলে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার করেই চলেছেন, তার দিন এবার সমাপ্তির মুখে। শিক্ষা দপ্তরকে নিয়ে রাজ্য সরকারের ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করতে এবার যে কেন্দ্রও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তা ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতিতে কেন্দ্র যে সমস্ত নিয়ম-নীতির কথা বলেছে, তার সম্পূর্ণটা মানেনি রাজ্য সরকার. রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করলেও কেন্দ্রের দেওয়া নিয়ম হুবহু না মানায় রাজ্যের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর এই ঘটনায় সোচ্চার হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি গোটা বিষয়ে অভিযোগ জানাবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষা দপ্তরের উন্নতির জন্য রাজ্যকে একশো শতাংশ টাকা দেবে, আর রাজ্য নিজেদের মতো করে চলবে, এটা হতে পারে না। অর্থাৎ বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের মাতব্বরির দিন হয়ত এবার শেষের মুখে। অনেকে আবার বলছেন, রাজ্যের দেখানো পথেই রাজ্যকে জবাব দিতে উদ্যোগী শুভেন্দুবাবু।

বলা বাহুল্য, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজ্যপাল অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করার সাথে সাথেই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকার। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী এটাও বলেছেন, টাকা আমরা দেব, আর রাজভবন নিজের মতো করে খেয়াল খুশি আচরণ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না। প্রয়োজনে তিনি নাকি উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করে দেবেন, এমন হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। ফলে যে মুখ্যমন্ত্রী টাকা দিচ্ছেন বলে নিজের নিয়ম-নীতি লাগু করার কথা বলেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তর টাকা দিচ্ছে, আর তিনি নিজের মতো করে নিয়ম-নীতি লাগু করবেন, এটা কি করে হতে পারে? তাই কেন্দ্রীয় সরকারও যে এবার বসে থাকবে না, অর্থ যেমন দেওয়া হচ্ছে, তেমন তার হিসাব যে চাওয়া হবে এবং কেন্দ্রের নিয়ম না মানলে যে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, তা স্পষ্ট। আর এই সমস্ত কিছুর জন্য রাজ্যের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে সেতুবন্ধনের কাজ করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সেই ব্যাপারেও দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার যে অর্থ অপচয় বন্ধ করতে কত কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারে, তা ইতিমধ্যেই টের পেয়েছে রাজ্য সরকার। একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ। যা নিয়ে তারা দিল্লিতে আন্দোলন করবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু তাতে কেন্দ্রের কিছুই আসে যায় না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ করে, তথ্য জমা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, রাজ্যে কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের পকেটে সেই টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে এই সমস্ত প্রকল্প রাজ্যে বন্ধ করে সঠিক মানুষরা যাতে বাড়ি পায়, যাতে একশো দিনের কাজ গরীব মানুষরা পান, তা দেখতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। আর সেই মতো কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করায় রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের গাত্রদাহ হতে শুরু করেছে। তারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরনের অভিযোগ তুলছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতারা যা খুশি বলতে পারেন। তাতে কিছুই এসে যায় না কেন্দ্রের। বরঞ্চ একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা প্রকল্পে যেভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে টাইট পেয়েছে রাজ্য সরকার, শিক্ষাতে কেন্দ্রের নীতি না মানলে যে সেই টাইট দেওয়ার বিষয়টি আরও দ্বিগুণ হয়ে যাবে, বড়সড় বিপদে পড়বে নবান্ন, তা স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!