জেলায় বিজেপি,তৃণমূলকে রুখতে নয়া হাতিয়ারের প্রস্তাব অশোক ভট্ট্যাচার্যের উত্তরবঙ্গ রাজ্য February 2, 2019 সামনেই লোকসভা ভোট। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো বামেরাও নিজেদের মতো করে ভোট প্রস্তুতি শুরু করেছে। জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ থাকলেও নিজেদের মতো করে সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির কাজ করেছে চলেছে বামেরা। এবার জেলায় তৃণমূলকে রুখতে ঐক্যবদ্ধ জনমত পেতে এক প্রার্থীর প্রস্তাবকে সামনে আনলেন বামনেতা অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়েই তিনি বললেন,গোটা দেশের বামফ্রন্ট বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হটানোর জন্যে কোমর বেঁধে আসরে নেমেছে। পাহাড়ে বিজেপির সাংসদ রয়েছেন। তবে শিলিগুড়িতে তৃণমূল দূর্বল বলেই জানান তিনি। পাহাড়ে কার্যত গায়ের জোরেই অধিকার জমাতে চাইছে শাসকদল। তাই বামেদের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,ভোটের আগে স্থানীয় রাজনৈতিক দল,বিভিন্ন জাতি এবং গোষ্ঠীর সঙ্গে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করার। এর ফলে বিরোধীদের সঙ্গে দার্জিলিংয়ে কঠিন লড়াই চালাতে বেশি বেগ পেতে হবে না। নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে গিয়ে পরোক্ষভাবে পাহাড়ে সম্পূর্ণ স্বশাসন,ষষ্ঠ তপশিল এবং পাহাড়কে বামেদের সংগঠনকে আরো জোরদার করার স্বপক্ষে সওয়াল তুলে পাহাড়ের দ্বিতীয় বড় দল জিএনএলএফকে বার্তা দেন অশোক বাবু। প্রসঙ্গত,অশোকবাবু যে প্রসঙ্গগুলোকে পক্ষে সওয়াল তুললেন সেগুলিই আসলে জিএনএলএফের মূল দাবী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শিলিগুড়ির অনিল বিশ্বাস ভবনের দলীয় কার্যালয়ে বসেই মেয়র বলেন,”পাহাড়ের উন্নয়নকে গায়ের জোরে কেউ নিজের খুশি মতো চালাতে চাইছেন। GTA নির্বাচন না করে গায়ের জোরে বিনয় তামাং ও অনিত থাপাকে প্রশাসক পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা GTA-তেও নির্বাচন চাই।” লোকসভা ভোটে দার্জিলিংয়ে জোড়াফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল। আর সেজন্যেই পাহাড়ের ক্ষমতায় আসতে তৃণমূলনেত্রী দার্জিলিংয়ের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলছেন। আসলে মোর্চা আর জিএনএলএফকে কাছে এনে লাভ পেতে চাইছে তৃণমূল। তাই এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে একই কৌশল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। সেজন্যেই শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল এবং বিজেপির রুখতে নয়া সমীকরণ সামনে আনলেন। বললেন,কে কোন চিহ্নে দাঁড়াবে সেটা বড় কথা নয়। বিজেপি এবং তৃণমূলের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে লড়াইটা আসলে কঠিন৷ তাই পাহাড়কে তৃণমূল এবং বিজেপি মুক্ত করতে,উন্নয়নের স্বার্থে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। আর এরজন্যে খোলাখুলি আলোচনাকেই প্রাধান্য দিলেন তিনি। বললেন,”আশা করি অন্য রাজনৈতিক দলের (তৃণমূল ও BJP-র) ফায়দা করে দিয়ে, সিধ কেটে কুমির আনবে না।” আপনার মতামত জানান -