এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের গোষ্ঠী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঝনঝনানি রাজ্যের শাসকদলের অন্দরে, যার জেরে পুড়ে ছাই শাসকদলের পার্টিঅফিস

ফের গোষ্ঠী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঝনঝনানি রাজ্যের শাসকদলের অন্দরে, যার জেরে পুড়ে ছাই শাসকদলের পার্টিঅফিস


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পাচিমবঙ্গে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস আশানুরুপ ফল লাভে অনেকটা ব্যর্থ হয়। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো রাজ্যে তৃণমূলের ৪২/৪২ এর আহবান জানালেও, শেষপর্যন্ত তা ফাঁকা আওয়াজেই তা পর্যবসিত হয়। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর ৪২ আসনে জয়লাভের আকাঙ্খা অপূর্ণ রেখে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল দলকে ২২ টি লোকসভা আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। অন্যদিকে গত ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে মাত্র ২ টি আসন পাওয়া রাজ্য বিজেপি এবারে ১৮ টি আসন পেয়ে পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের অভূতপূর্ব উত্থান ঘটায়। আর ঘারে নিঃস্বাস ফেলতে থাকে শাসকদলের।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের আরোদুটি বিরোধী দল কংগ্রেস, বামের কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে তেমন একটা সংশয়ান্বিত হতে দেখা যায়নি। কিন্তু রাজনীতিতে প্রবল প্রতিপক্ষ বিজেপির উত্থান মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী, কর্মীদের কাছে যথেষ্ট রক্তচাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সরাসরি তাঁরা মুখে স্বীকার না করলেও, তাদের হাব ভাব ই তাদের টেনশনের পরিষ্কার প্রমানবাহি। লোকসভা নির্বাচনের খারাপ ফলে সংশয়ান্বিত হয়ে আগামী ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের জয়লাভের ধারা অব্যাহত রাখতে পশ্চিমবঙ্গে ধরে আনা হয় ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর বা পি.কে কে শাসকদলের পক্ষ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর এরাজ্যে গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের খারাপ ফল হিসেবে মূলত দায়ী করেন দলের গোষ্ঠীদন্দ্বকে। পশ্চিমবঙ্গে শাসকদের গণসমর্থন মজবুত করার লক্ষে ভোট কৌশলী পি.কে. ‘দিদিকে বলো’ , বা ‘বাংলার গর্ব মমতা’ ইত্যাদি কিছু প্রকল্প রাজ্যে চালু করেন, সেইসঙ্গে শাসকদলকে বারবার সতর্ক করে দেন দলের গোষ্ঠীদন্দ্বের বিষয়ে, সেই সঙ্গে তিনি শাসকদলের নেতা,কর্মী,মন্ত্রীদের বারবার সাবধান করেন নতুন করে আর্থিক কেলেঙ্কারির কালিমা গায়ে না লাগাতে। কারণ, ইতিপূবেই রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতা, কর্মী, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরোধীরা আর্থিক কেলেঙ্কারির বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।

পি.কে.র পরামর্শ মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও বারবার দলের নেতা, কর্মী, মন্ত্রীদের বারবার বলেছেন মানবিক হতে, বিপদের দিনে মানুষের পশে দাঁড়াতে, আর অসচ্ছতা কোনভাবেই না আনতে।তবে নিন্দুকেরা বলে বেশ কয়েকবছর ধরে ক্ষমতার সুখী গৃহকোণে থেকে এখন শাসকদলের অনেক নেতা, কর্মী হয়ে পড়েছেন দাম্ভিক, দুর্নীতি পরায়ণ, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় শুন্য। আর রাজ্য বা দলের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু নিজের স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়ায় শাসকদল যথেষ্ট ভাবে বাড়ছে অন্তর্দন্দ্ব, সংঘর্ষের মাত্রা।মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ, নির্দেশ অনেকক্ষেত্রেই জলের আল্পনা হয়েই তাই থেকে যাচ্ছে।
কান পাতলে শাসকদলের অন্দর থেকে বারবার যেখানে গোষ্ঠীর্দন্দ্ব এর ঝনঝনানি ভেসে আসছিলো, সেই পরিস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমার পাণ্ডবেশ্বর থানার অন্তর্গত মহল গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার আবার একটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সংবাদ এলো।

স্থানীয় সংবাদসূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমার পাণ্ডবেশ্বর থানার অন্তর্গত মহল গ্রামে কয়লা বোঝাই করা একটি গাড়ির কয়লা বোঝাইয়ের উদেশ্যে নেওয়া শ্রমিকেদের নিয়োগকে কেন্দ্র করে সেই গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি বিবাদমান গোষ্ঠীর মধ্যে চলে ব্যাপক অশান্তি। ঘটনার জেরে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস ভাংচুর করা হয় আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। মহাল গ্রামের জনৈক তৃণমূল নেতা শেখ মুন্নার এই ঘটনার প্রসঙ্গে অভিযোগের আঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন পাশের গ্রামের তৃণমূল নেতা মনির মণ্ডলের প্রতি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুন্নার বাবু বলেছেন, ” এলাকার একটি খনিতে বেশ কয়েকটি লরি বৈধভাবে কয়লা বহন করছে। সেখানে গ্রামের বেকার যুবকদের কাজে নেওয়া হয়নি।

এদিন একটি গাড়ির মালিককে স্থানীয় যুবকদের কাজে নিতে বলি। এরপরই পাশের দান্য গ্রাম থেকে গুন্ডা বাহিনী এসে আমাদের মারধর করে। কার্যালয় ভাঙচুর করে নথিপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়।” তবে নিজের দিকে ওঠা মুন্নার বাবুর এই অভিযোগকে সাপমান ভাবে অস্বীকার করতে দেখা গেছে তৃণমূল নেতা মনির মণ্ডলকে। মনির বাবু এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ” এই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ যুক্ত নেই। ওখানে কাজ করা আমাদের গ্রামের কিছু বেকার যুবক হয়তো মারধর করেছে।” এভাবে মহল গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলেছে অভিযোগ ও অভিযোগ অস্বীকারের পালা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!