এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফেঁসে গেলেন মমতার মন্ত্রী, জেরা করার ক্ষমতা হবে তো দলদাস পুলিশের? প্রশ্ন বিজেপির!

ফেঁসে গেলেন মমতার মন্ত্রী, জেরা করার ক্ষমতা হবে তো দলদাস পুলিশের? প্রশ্ন বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এমনি এমনি বিরোধীরা বলে না যে, এই রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। এমনি এমনি তাদের মুখ থেকে অভিযোগ শুনতে পাওয়া যায় না যে, এই রাজ্যের পুলিশকে সম্পূর্ণরূপে দলদাসে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আর তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে সন্দেশখালীর ঘটনা। যেখানে সেই ঘটনার পর এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পুলিশ নাকি মূল অভিযুক্ত শেখ শাহাজাহানকে খুঁজে পাচ্ছে না। কিন্তু বিরোধীরা দাবি করছে, পুলিশের নাগালের মধ্যেই রয়েছে শাহজাহান। কিন্তু তাকে ধরা হলে তৃণমূলের ওপরতলা ফেঁসে যাবে। তাই পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবেই তাকে ধরছে না। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই রাজ্যের কারামন্ত্রী আবার বলে ফেলেছেন, শেখ শাহজাহান নাকি চিকিৎসার জন্য বাইরের রাজ্যে চলে গিয়েছেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মন্ত্রী সাহেব এই তথ্য পেলেন কোথা থেকে? যেখানে পুলিশ বলছে যে, তারা শাহজাহানকে খুঁজে পাচ্ছে না, সেখানে মন্ত্রী এত বড় বক্তব্য রাখার পর তো তাকে ডেকে এবার এই দলদাস পুলিশের জেরা করা উচিত। যেখানে আদালত থেকে শুরু করে বিরোধীরা, বারবার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, সেখানে অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য অখিল গিরির এই মন্তব্য। তাই তিনি যখন এই ধরনের কথা বলছেন, তখন নিশ্চয়ই তিনি শেখ শাহজাহানের গতিবিধি সম্পর্কে খবর রেখেছেন। তাই এবার তাকে জেরা করে শেখ শাহজাহানকে খুঁজে বের করার ক্ষমতা  পুলিশের হবে তো? তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, এদিন অখিল গিরির শেখ শাহজাহান নিয়ে মন্তব্যের পর কিছুটা বিড়ম্বনার মুখেই পড়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তো এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের উপর হামলা হওয়ার পরে এই ব্যাপারে টু শব্দটি করেননি। কারণ তিনি নিজেও জানেন যে, কত বড় অপরাধ করেছেন তার দলের এই সম্পদ শাহজাহান। তার দাপটে নাকি বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। কিন্তু এত বড় বীর হওয়া সত্বেও তিনি এখন লুকিয়ে রয়েছেন। সামনে আসার মত ক্ষমতা তার হচ্ছে না, এতটাই তার মেরুদন্ড ভাঙ্গা। এরা নাকি আবার নিজেদের নেতা বলে দাবি করতো।

সত্যি, এদের দেখেও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ লজ্জিত যে, কাপুরুষের দলের মত তারা অপরাধ করেও সামনে না এসে কোনোরকমে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে। শুধুমাত্র এই দলদাস পুলিশ রয়েছে বলে এরা বেঁচে যাচ্ছে। আজকে পুলিশ যদি নিরপেক্ষ থাকত, তাহলে কি করে এদের সোজা করতে হয়, কি করে এদের ঘাড় ধরে জেলের ভেতরে ঢোকাতে হয়, তা বুঝিয়ে দেওয়া যেত। যাই হোক, তর্কের খাতিরে ধরেই নেওয়া গেল যে, পুলিশ সত্যিই শেখ শাহজাহান কোথায় আছে, সেটা জানে না। কিন্তু অখিল গিরি রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি যখন বলে দিয়েছেন যে, চিকিৎসার জন্য বাইরের রাজ্যে গিয়েছে সেই শাহজাহান, তখন নিশ্চয়ই এবার তাকেও এই তদন্তের অধীনে নিয়ে আসা উচিত। কারণ হয়তো তার কাছে নিশ্চয়ই কোনো সেরকম তথ্য রয়েছে। ফলে মন্ত্রী সাহেবকে জেরা করে এই শেখ শাহাজাহানকে ভেতরে ঢোকানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে প্রশাসনের। তাই এবার দলদাস মনোভাবকে দূরে রেখে এই প্রশাসন রাজ্যের কারামন্ত্রীকে জেরা করার সাহস দেখাতে পারবে তো? অনেকে বলছেন, দলদাস পুলিশের কাছ থেকে এমনটা আশা করাই তো বৃথা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সেই ব্যাপারে দাবি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনিও কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এই পুলিশের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ন্যাজাট থানার এবার তদন্তের কারণে জেরা করা উচিত রাজ্যের কারামন্ত্রীকে। শুধু কি তাই? তৃণমূল দলে এবং এই রাজ্যের প্রশাসনে তো শেষ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে এত বড় ঘটনা ঘটার পর যে পুলিশ শেখ শাহজাহানকে আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের, সেই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী নিশ্চয়ই সেই শেখ শাহজাহান কোথায় আছে, সেটা খুব ভালো করেই জানেন। তার ইন্ধনেই সমস্ত কাজকর্ম হচ্ছে। ফলে কারামন্ত্রীর মত একজন সাধারন মন্ত্রী যখন এত বড় খবর রাখছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী যে নিজেই এই শাহজাহানের মত অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এবং আড়াল থেকে সমস্ত কার্যকলাপ করছেন, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই বিরোধীদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!