এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শিক্ষিত বেকারদের চাকরি নেই, কিন্তু নয়া সিস্টেমে নাকি চাকরি দেবেন মমতা! ঢপের চপ, কটাক্ষ বিজেপির!

শিক্ষিত বেকারদের চাকরি নেই, কিন্তু নয়া সিস্টেমে নাকি চাকরি দেবেন মমতা! ঢপের চপ, কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই এমন সব কথা বলে ফেলেন মনে হয়, যেন তিনি একেবারে সত্যি কথা বলছেন। তার হাতে যেন জাদু আছে। তিনি এক নিমেষে অসাধ্য কাজ পূরণ করে ফেলবেন। কিন্তু এতদিনে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে যে রাজ্যবাসী রয়েছে, তারা যে তিক্ততা উপলব্ধি করেছে, তাতে বড় বড় চমকপ্রদ ভাষণ দেওয়া এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে তারা বেশি কিছু আশা করে না। একবার আপনারাই ভেবে দেখুন তো, এই রাজ্যে যখন বেকার যুবক যুবতীরা চাকরির আশায় রাস্তায় বসে রয়েছে, তাদের প্রাপ্য চাকরি তাদেরকে না দিয়ে সেটা অন্য কাউকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, অথচ তারা আন্দোলন করার পরেও এই সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না, সেখানে দাঁড়িয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খেলাশ্রী নামক একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে যারা পদক পেয়েছেন, তাদের কি করে চাকরি দেওয়া যায়, তার জন্য একটি নতুন সিস্টেমের কথা বলছেন! মানে আবার একটা ঢপবাজি, আবার একটা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি! হ্যাঁ, এই কথা রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস করত, যখন ন্যায্য চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে থাকা ছেলেমেয়ের গুলোর দাবি পূরণ করত এই রাজ্য সরকার। তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেসব না করে যারা খেলায় পদক পেয়েছেন, তাদের চাকরি দেওয়ার জন্য তিনি সিস্টেম তৈরি করবেন বলে যে সমস্ত কথা বললেন, তাকে ঢপ বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রী খেলাশ্রী নামক একটি অনুষ্ঠানে যান। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “যারা কেরিয়ার তৈরি করার দিকে নজর দিচ্ছেন, তাদের নিয়ে সরকার ভাববে। আপনাদের মধ্যে যারা পদক পেয়েছেন, যারা পদকজয়ী, তাদের কি করে একটি সিস্টেমের মধ্যে এনে চাকরির ব্যবস্থা করা যায়, সেটা আমরা ভেবে দেখব।” এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে বলছে সিস্টেমের কথা! কার মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে নতুন আইন তৈরি করার কথা! যিনি দুই হাতে প্রতি নিয়ত, প্রতিদিন, প্রতি সেকেন্ডে আইন ধ্বংস করছেন, আইনের রক্ষক হয়ে আইনকে চ্যালেঞ্জ করছেন, সেই মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি নাকি চাকরি দেবেন! তার রাজ্যে সব থেকে বেশি চাকরিকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি হয়েছে। যার কারণে বেকার ছেলে মেয়েরা, শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বসে থেকে আন্দোলন করছেন। ফলে খেলোয়াড়দের মন জয় করার জন্য অনুষ্ঠানে যা খুশি তাই বলে দিয়ে আরও একটা মিথ্যা প্রলোভন, একটা পাতা ফাঁদ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও খুব ভালোমতো জানেন, তার আর বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। মানুষ তার চালাকি ধরে ফেলেছে। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে খেলোয়াড়দের মন জয় করতে আরও একটা ঢপের চপ দিয়েছেন তিনি। যে রাজ্যে প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে চাকরি বিক্রি করা হয়, সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে নতুন কোনো প্রতিশ্রুতি শুনতে রাজি নয় রাজ্যবাসী। তারা সবাই জানে যে, তৃণমূল মানেই একটা গুলবাজ দল। এরা সব সময় মানুষকে মিথ্যে কথা বলে বিভ্রান্ত করতে ব্যস্ত। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই সমস্ত বক্তব্যে চিড়ে ভিজবে না। আগে তিনি শিক্ষিত বেকার চাকরিপ্রার্থী যারা রাস্তায় বসে আছেন, তাদের চাকরি দিয়ে দেখান। তারপরে বোঝা যাবে এই সরকারের কত দম!

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোথায় কি বলতে হয়, কিভাবে বলতে হয়, তার কিছুই জানেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তো বিরোধীরা বলেন যে, এই রাজ্যে একজন অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী 2021 সালের ক্ষমতায় বসেছে। সেই কারণেই রাজ্যবাসী প্রতিমুহূর্তে কপাল চাপড়াচ্ছেন। আসলে প্রশাসকের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু আলাদা হয়। কিন্তু সব জায়গায় নিজের প্রচার চাই। সেই কারণে খেলোয়াড়দের অনুষ্ঠানে গিয়েও একটা বিভ্রান্তিকর কথা বলে নিজে যাতে খবরে আসেন, সেই চেষ্টায় করে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এতদিনে মানুষ তার এই ঢপবাজি, এই মিথ্যে কথা, প্রচার সর্বস্ব মনোভাব সবকিছু ধরে ফেলেছে। তাই খেলোয়াড়দের চাকরি দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন, তাকে চূড়ান্ত ঢপবাজিই বলাই যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!