এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করছেন মমতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যে পর্দাফাঁস! সোচ্চার বিজেপি!

রাজ্যের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করছেন মমতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যে পর্দাফাঁস! সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় নিজের প্রচার চান। কিছু না করেও কি করে প্রচার পাওয়া যায়, সেই চেষ্টা করেন। এই যেমন, কেন্দ্রকে হিসাব না দিয়েও কেন্দ্র কেন টাকা দিচ্ছে না, সেই ব্যাপারে তিনি নাকি আবার আন্দোলন শুরু করবেন! মানে সব জায়গায় একটা মিথ্যে কথা বলে মানুষের কাছে নিজে যাতে ভালো থাকতে পারেন, তার চেষ্টাই করে যান এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি যতদিন রেলমন্ত্রী ছিলেন, ততদিন নাকি তিনি বাংলার জন্য সবথেকে বেশি কাজ করেছেন। কিন্তু তারা মনে কতটা কি কাজ হয়েছে, পরিকাঠামো ছাড়ায় কিভাবে উন্নয়ন করেছেন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা তো চোখের সামনেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে যে, রেলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে তার একের পর এক শুধুমাত্র ঘোষণার কারণে কতটা ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল। তবে সেসব পরের কথা। কিন্তু সেই রেলের উন্নতির জন্য যখন কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা করছে, তারা যখন প্রস্তুত এই পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় নতুন রেল দেওয়ার জন্য, তখন তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। না, এটা আমাদের কথা নয়। কেন্দ্রের বাজেট অধিবেশনের দিনেই রাজ্যের বিরুদ্ধে এই ভয়ংকর অভিযোগ এনেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অনেক বড় বড় কথা সভা মঞ্চে বলেন। তিনি নাকি উন্নয়নের প্রতিভু, তিনি নাকি এগিয়ে বাংলা স্থাপন করেছেন। কিন্তু সেই বাংলায় বেকাররা যখন চোখের জল ফেলছে, যখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবকিছু বিপর্যয়ের মুখে, তখন কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাংলায় চালু করার জন্য রাজ্যের কাছে বারবার আবেদন করছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য সেই প্রকল্পকে বাংলায় ঢুকতে দিচ্ছে না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও খুব ভালো মত জানেন যে, কেন্দ্রের এই উন্নয়নমূলক প্রকল্প যদি রাজ্যের মাটিতে লাগু হয়ে যায়, তাহলে তার ভোট ব্যাংক ধ্বসে পড়বে। তিনি যে মিথ্যে প্রলোভন দিয়ে মানুষকে শুধুমাত্র ভাতা, ভর্তুকি দিয়েই চুপ করিয়ে রেখেছেন, সেটা আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই রেলের মানচিত্রে বাংলা যাতে নতুন করে জায়গা করে নেয়, সেই চেষ্টা যখন কেন্দ্রীয় সরকার করছে, তখন তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট ভাষায় অভিযোগ করেছেন যে, বহু চিঠি, বহু মিটিং হয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। রাজ্য জমি না দেওয়ার কারণেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বহু রেল প্রকল্প আটকে রয়েছে। যার কারণে আখেরে বঞ্চিত হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রীর এই অভিযোগকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রাজ্য হয়ত আবার চেষ্টা করবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তাই সকলেই চাইছেন যে, এই ব্যাপারে মুখ খুলুন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তো কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুযোগ পেলেই কথা বলতে ছাড়েন না। তাহলে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী যখন এত বড় অভিযোগ করছেন, তখন তিনি তো তথ্য প্রমান না নিয়ে এই কথা বলবেন না। আর এই রাজ্য সরকার যে কেন্দ্রের প্রকল্পকে বারবার পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে আটকে দিতে চাইছে, সেটা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। ফলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে যিনি বারবার অভিযোগ করেন, যিনি প্রশাসনিক সভামঞ্চে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কথা বলেন, সেখানে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রীর এত বড় বক্তব্যের পরেও কেন চুপ করে আছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান?

বিজেপির দাবি আসলে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন তার সবটাই ঠিক শুধুমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য এবং বিজেপির ভোট ব্যাংক যাতে বৃদ্ধি না পায় তার জন্যেই রেল প্রকল্পে জমি দিচ্ছে না এই রাজ্যের সরকার। যার মাধ্যমে আদতে রাজ্যে সাধারন মানুষকে আরও বঞ্চনার মুখে ফেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তার মুখোশ খুলে দেওয়ার সময় এসেছে। নিজেকে জনদরদী বলে আর বেশিদিন ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে পারবেন না তৃণমূল নেত্রী। যে ক্ষতি তিনি রাজ্যবাসীর করছেন, কেন্দ্র রেল প্রকল্প চালু করার মানসিকতা নিয়ে বসে থাকার পরেও রাজ্য যেভাবে অসহযোগিতা করছে, তাতে এই সরকারের দ্বিচারিতার পর্দা আরও প্রকটভাবে ফাঁস হয়ে গেল। আগামী লোকসভা নির্বাচনে যার প্রভাব নিশ্চিত করেই ভোটব্যাংকে পড়বে এবং ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে জন বিরোধী তোলামূল সরকার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!