এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মিঠুনকে পদ্ম পুরস্কার, বাংলা গর্বিত হলেও গায়ে জ্বালা তৃণমূলের! মোক্ষম জবাব পদ্মের!

মিঠুনকে পদ্ম পুরস্কার, বাংলা গর্বিত হলেও গায়ে জ্বালা তৃণমূলের! মোক্ষম জবাব পদ্মের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কি আশ্চর্য, বাংলার কেউ সর্বভারতীয় স্তরে কোনো নামিদামি পুরস্কার পেলে বা কেউ সম্মান পেলেই তাকে দুই চোখে সহ্য করতে পারেন না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং এই রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। তাদের রুচিবোধ এত জঘন্য জায়গায় নেমে গিয়েছে যে, এরা বাংলার জন্য কাজ করে যাওয়া একের পর এক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আক্রমণ পর্যন্ত করতে দুবার ভাবছেন না। আর কারা আক্রমণ করছেন? যারা দীর্ঘদিন জেল খেটে এসেছেন, তারা আক্রমণ করছেন পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় নাম থাকা মহাগুরু বলে পরিচিত মিঠুন চক্রবর্তীকে।

ভেবে দেখুন একবার বাংলার মানুষ! কোন জায়গায় এই বাংলাকে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস! সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মভূষণ কারা কারা পাচ্ছেন, তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে নাম রয়েছে বিশিষ্ট অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। এটা নতুন করে বলতে হবে না যে, মিঠুন চক্রবর্তী বাংলাকে কত কিছু দিয়ে গেছেন। তার অবদান বাংলার মানুষ নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন। তিনি বাংলার জন্য যা করেছেন, তা সত্যিই চিরকাল স্মৃতিপটে লেখা থাকবে। এখনও তিনি সেই কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তীকে এই পুরস্কার দেওয়া নিয়েও এবার কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।

কি আশ্চর্য লাগে তাই না? সাড়ে তিন বছর ধরে যে মানুষটা জেলে ছিলেন, সেই মানুষটা বাংলার জন্য একের পর এক হিট করে যাওয়া সিনেমা করা মহাগুরু বলে পরিচিত মিঠুন চক্রবর্তীর মূল্যায়ন করছে! সত্যি, তৃণমূলের এই মুখপাত্রের কি যোগ্যতা আছে বলুন তো যে, তিনি মিঠুন চক্রবর্তীর এই পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় নাম থাকা নিয়েও কটাক্ষ করবেন? অবশ্য তার মাথার উপর তো মহারানীর হাত রয়েছে। কাজেই তিনি যা খুশি তা বলতে পারেন। এই রাজ্যকে তো তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের মুখপাত্ররা আলাদা দেশ বলে ভাবে। তাই এখানে আলাদা আইন।

যে মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ এই কুনালবাবুর দলের দলনেত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যা ইচ্ছে তাই শব্দ প্রয়োগ করেন, সেখানে বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে রক্ষা করা মিঠুন চক্রবর্তীকে এরা আক্রমণ করবেন, এটা তো অতি স্বাভাবিক বিষয়। তাই এমন সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা একজন ব্যক্তির কাছ থেকে শুনতে পেয়েছে বাংলা। সব থেকে বড় বিষয়, মিঠুন চক্রবর্তী এই তৃণমূলের চুরিটা ধরতে পেরেছেন বলেই তৃণমূলের এখন গায়ে জ্বালা হয়েছে। তিনি একটি রাষ্ট্রবাদী দলের সঙ্গে রয়েছেন বলেই তার বিরুদ্ধে আক্রমণ করে তার সমস্ত সাংস্কৃতিক অবদানকে অস্বীকার করে তৃণমূল এক নিম্ন রুচির পরিচয় দিয়েই চলেছে। তবে এসব এই রাজ্যের শাসক দল যত বেশি করবে, ততই তারা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলেই দাবি করছে বিরোধী শিবির।

তবে এসবের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কিন্তু একটি তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, সাড়ে তিন বছরের একজন জেল খাটা ব্যক্তি তিন তিন বার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এবং এবার পদ্মভূষণ প্রাপকের তালিকায় নাম থাকা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে কটাক্ষ করছে। তাই উত্তর কলকাতার মানুষই এটা বিচার করবে। একাংশ বলছেন, সত্যিই তাই‌। মানুষের উপরেই সবটা ছেড়ে দেওয়া উচিত। আসলে কথায় আছে না, বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি। তৃণমূলের এখন তাই হয়েছে। সব দিক থেকেই তারা ফেঁসে যাচ্ছে। তাই সত্যকে অস্বীকার করে বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার কৃষ্টিকে যারা এতকাল রক্ষা করেছেন, একের পর এক সিনেমা উপহার দিয়ে যারা বাংলা তথা ভারতবর্ষকে গর্বিত করেছেন, সেই সমস্ত মানুষদের দেখেও এখন তৃণমূল হিংসায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!