এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দেশপ্রেমিক শুভেন্দু! জনতার ভিড়ে মিশে গেলেন বিরোধী নেতা!

দেশপ্রেমিক শুভেন্দু! জনতার ভিড়ে মিশে গেলেন বিরোধী নেতা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- হয়তো এক সময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, সেই দলের হেভিওয়েট নেতা ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর জন্য মোটেই তৃণমূল কংগ্রেসের মত দল পারফেক্ট ছিল না। সেই কারণেই তিনি কিছুটা দেরি হলেও বুঝে রাষ্ট্রবাদী এবং দেশপ্রেমিক দল হিসেবে পরিচিত সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আর এই স্বৈরাচারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী নেতা হিসেবে লড়াই করতে গিয়ে প্রত্যেকটি সভা সমিতিতে মানুষের যে ভালোবাসা শুভেন্দু অধিকারী পাচ্ছেন, তা সত্যিই ক্ষমতায় না থেকেও অনেক বড় বিষয়। মানুষের এই ভালোবাসা যেখানেই শুভেন্দু অধিকারী যাচ্ছেন, সেখানেই উপচে পড়ছে।

এদিন প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন হাজারও পুলিশ নিয়ে রেড রোডে প্রশাসনের করা অনুষ্ঠানে প্রচুর ক্যামেরার সামনে নিজেকে টিভির পর্দায় দেখে খুশি হচ্ছেন, তখন শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু নিয়েছেন অন্য একটা কর্মসূচি। দেশের মাটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশপ্রেমিকের মতই হিঙ্গলগঞ্জে তেরেঙ্গা যাত্রার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। আর সেখানে সাধারণ মানুষের যে উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাতে বলাই যায় যে, মানুষ জননেতা হিসেবে বাংলার মাটিতে পছন্দ করছেন একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীকেই। তাই পুলিশ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যতই তিনি প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করুন না কেন, শুভেন্দু অধিকারী সেই সমস্ত প্রতিবাদীদের কাছে কার্যত নতুন উন্মাদনা হয়ে দাঁড়িয়েছেন‌। আজকের ভিড় আবারও সেই প্রমাণ দিয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

আসলে এটা রাজ্যের মানুষের কাছে নতুন করে তুলে ধরতে হবে না যে, শুভেন্দু অধিকারীকে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা সকলেই জেনে গেছেন যে, যেদিন থেকে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন, সেদিন থেকেই তিনি এই হারের আতঙ্কে ভুগছেন। প্রতি মুহূর্তে তিনি চেষ্টা করছেন, কি করে শুভেন্দু অধিকারীকে কাবু করা যায়। কিন্তু কেস দিয়ে হোক বা ভয় দেখিয়ে হোক বা মামলা দিয়ে হোক, কোনোভাবেই শুভেন্দু অধিকারী নামক আতঙ্ককে ধামাচাপা দিতে পারছেন না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এতই নাকি তার ক্ষমতা! কিন্তু তারপরেও শুভেন্দু অধিকারীর একের পর এক সভায় যে ভিড় হচ্ছে এবং আজকে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেও যত মানুষের সঙ্গে তিনি হেটেছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, এবার খেলা ঘুরতে শুরু করেছে।

মানুষের এই জনস্রোত প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, একসময় বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা সমিতিতে যে ভিড় হত, এখন সেই ভিড় হতে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর সভায়। অর্থাৎ স্বৈরাচারী শাসকের পদ্ধতি, তাদের নীতি এবং তাদের আচার-আচরণ সাধারণ মানুষের একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না। সেই জায়গায় বাংলার মানুষ বিকল্প মুখ হিসেবে পছন্দ করছেন শুভেন্দু অধিকারীর মত‌ নেতাকেই। আজকে হিঙ্গলগঞ্জে, যেটা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত, সেখানে যে পরিমাণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, তা কিন্তু তৃণমূলের কাছে যথেষ্ট চিন্তাদায়ক। আর যাই হোক, শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু টাকা দিয়ে লোক টানেননি বা তৃণমূলের মত বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়ে লোককে এই মিছিলে হাঁটাননি।

বিরোধী দলে থাকলে অনেক প্রতিবন্ধকতা সহ্য করতে হয়। সুতরাং সেই সবকিছুকে উপেক্ষা করে সর্বোপরি শাসকের ভয় এবং পুলিশের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে মানুষ যখন বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে তেরেঙ্গা যাত্রায় উপস্থিত হয়েছেন, তখন বুঝতে হবে যে, শুভেন্দু অধিকারীর কথা এবং তার ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই এসব দেখে কিছুটা হলেও শোধরাতে শুরু করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা না হলে ভয়ংকর পরিণতি অপেক্ষা করছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল তোলামূলের নেতাদের জন্য। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!