একমাত্র বাংলাতেই নাকি নিরাপদ মহিলারা! মমতার ভাষণে তুলোধোনা বিজেপির! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 7, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালির ঘটনা সামনে আসার পরেও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কেন ঘুম ভাঙছে না! সেটাই তো বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্ন বিরোধী দল থেকে শুরু করে রাজ্যের সাধারণ মানুষের। আর সেই প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠতে শুরু করে তখন, যখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় গলায় দাবি করেন, রাজ্য নাকি সব কিছুতেই প্রথম সারিতে রয়েছে। তবে কোন দিক থেকে প্রথমে রয়েছে, সেটা তিনি দেখতে পান না। তিনি দেখতে পান না, তার দলের নেতাদের দ্বারা কি পরিমান নির্যাতিত হতে হচ্ছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মা বোনেদের! তা না হলে আজকে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নারী দিবসকে কেন্দ্র করে মিছিল করে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এত বড় বড় কথা বলতে পারতেন না। যে কথা শুনে লজ্জায় মুখ ঢাকতে বাধ্য হচ্ছেন রাজ্যের নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে নারী সমাজ। তাদের একটাই কথা যে, ভুল থেকে শিক্ষা না নিয়ে, ক্ষমা না চেয়ে কি করে এত বড়াই করতে পারেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান! সবকিছুতেই কেন তাকে প্রথম হতে হবে? কেন তিনি ভুল থেকে শিক্ষা নেবেন না! আর কেন তিনি মানবেন না যে, তার সরকারের আমলে ভুল হয়েছে! কিন্তু এই সমস্ত প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর একটি কথাকেই কেন্দ্র করে। কি বলেছেন তিনি? প্রসঙ্গত, আজ নারী দিবসের সমর্থনে মিছিল করার পর একটি সভা থেকে অনেক বড় বড় কথা বলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে মহিলারা সুরক্ষিত এবং নিরাপদ। পাশাপাশি তিনি হাথরাস, মনিপুরের কথাও তুলে ধরে বিজেপিকে আক্রমণ করেন।স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল দলের নেত্রী হয়ে বিজেপি যখন তার বিরোধী দল, তখন তিনি বিজেপিকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নিজস্ব বিবেক, নিজস্ব রাজনৈতিক পন্থা বলে তো কিছু থাকবে। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিন্দুমাত্র নজর রাখার চেষ্টা করেন না বলেই অভিযোগ একাংশের। অনেকে বলছেন, কি করে পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য একমাত্র নিরাপদ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সরকারের হয়ে ব্যাটিং করতে করতে এমন জায়গায় পৌঁছে যাবেন না যে, তার ভূমিকা নিয়েই মানুষ প্রশ্ন তোলেন। তিনি তো একজন মহিলা। তারপরেও সন্দেশখালির মা-বোনেরা যে আর্তনাদের কথা বলেছেন, সেটা দেখার পরেও কেন তিনি চুপ করেছিলেন! সেটাই তো বড় প্রশ্ন। সেদিক থেকে তার তো ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেসব না করে তিনি আবার বড় বড় গলায় নিজের রাজ্যকে সেরা হিসেবে দেখিয়ে বাংলার মা-বোনেদের কান্নাকে যদি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে সেটাই তার সরকারের ক্ষেত্রে বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, যে কোনো সরকার তার আমলে ঘটে যাওয়া কোনো খারাপ বিষয়কে ধামাচাপা দেবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। তারা ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবে, এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু যে ইস্যু নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, যেটা চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে, সেটাকে কি করে ধামাচাপা দেওয়া যায়! বরঞ্চ সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক প্রশাসকের উচিত, সেই ঘটনার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়া। প্রকাশ্যে বলা উচিত যে, আমার সরকারের আমলে ভুল হয়েছে, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এই ভুল ত্রুটি যাতে না হয়, সেদিকে আমরা নজর দেব। কিন্তু সেসব না বলে বড় বড় গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারী সুরক্ষায় রাজ্য প্রথম বলে যে দাবিটা করলেন, তা সত্যিই লজ্জায় ফেলে দিয়েছে রাজ্যের সাধারণ মা-বোনেদের। যার ফলে বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন যে, আত্মপ্রচার সর্বস্ব এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জন্যেই রসাতলে যাচ্ছে বাংলা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -