হিন্দুভোট কাছে টানতে এবার এই বিশেষ পদক্ষেপের পথে তৃণমূল! কাজে আসবে কি? বাড়ছে জল্পনা কলকাতা রাজ্য December 18, 2019 ভোট বড় বালাই। আর সেই ভোটকে নিজেদের বাগে আনতে এবার হিন্দুদরদী মনোভাব প্রকাশ করতে শুরু করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেল যে, সাধারণ মানুষের মন জয় করতে হরিনাম সংকীর্তনের আসর বসানোর উদ্যোগ নিল তৃণমূল নেতৃত্ব। যেখানে এই হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের মন অনেকটাই জয় করা যাবে বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের একাংশের। সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে পাড়ায় পাড়ায় এবার এই কীর্তনের আসর বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ে অনেকটাই হতাশ হয়েছিল ঘাসফুল শিবির। তবে তারপর সদ্য সমাপ্ত হওয়া রাজ্যের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজোতে কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছিল এখানকার তৃণমূল নেতাদের। গৌতম দেব থেকে রঞ্জন সরকার, প্রায় প্রত্যেকেই ছোটখাটো পুজোর উদ্বোধনে থেকে হিন্দুদরদী ভাবমূর্তিকে প্রকাশ্যে এনেছিলেন। আর এবার সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় হরিনাম সংকীর্তনের আসর বসতে চলেছে তারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসে শিলিগুড়ির 37 নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মার উদ্যোগে একটি কীর্তনের অনুষ্ঠান হয়। আর এবার আগামী বৃহস্পতিবার চয়নপাড়ায় ফের বসতে চলেছে একটি কীর্তনের আসর। যে হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান রয়েছেন সেই রঞ্জন শীলশর্মা। তৃণমূল সূত্রের খবর, একের পর এক শিলিগুড়ি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই হরিনাম সংকীর্তন চলবে। 4 জানুয়ারি দাসপাড়ায়, পরবর্তীতে সাহাপাড়া, নিরঞ্জননগর, সুকান্তনগর সহ বিভিন্ন অঞ্চলে এই কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে। আর শিলিগুড়িতে তৃণমূলের এই হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠান উদ্যোগের ঘটনাকে একটু অন্যভাবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। একাংশের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ হিন্দুভোট বিজেপির দিকে চলে যাওয়াতেই তৃণমূলের বিপত্তি হয়েছে। ফলে সেদিক থেকে এবার শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের ওপর ভরসা না করে, হিন্দুভোট নিজেদের দিকে টানতেই এই হরিনাম সংকীর্তনের উপর জোর দিচ্ছে শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও বা এই ব্যাপারে অন্য কথা বলছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে সব ধরনের উৎসব, অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের পাশে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই কীর্তনের আসরেও যুক্ত হয়েছি। এর সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই।” তবে তৃণমূল নেতারা যে কথাই বলুন না কেন, শুধুমাত্র হিন্দুভোটকে পাখির চোখ করেই যে কীর্তনের আসর বসানোর মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -