এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দেখ কেমন লাগে, দিদির রাজ্যে চরম ধাক্কা রাহুল গান্ধীর! ঘুম কাড়লো বিজেপি!

দেখ কেমন লাগে, দিদির রাজ্যে চরম ধাক্কা রাহুল গান্ধীর! ঘুম কাড়লো বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বৃহত্তর স্বার্থে জোট তৈরি হবে! সেই জোট নাকি ক্ষমতাচ্যুত করবে বিজেপিকে! আশ্চর্যজনক ভাবে রাজ্যগুলিতে যাদের একে অপরের মুখ দেখাদেখি বন্ধ, যারা একে অপরের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলেন না, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সেই কংগ্রেস, তৃণমূল সব রাজনৈতিক দল মিলে জগাখিচুড়ি জোট তৈরি করেছিল বিজেপিকে আটকানোর জন্য। কিন্তু এখন সেই জোটের ভবিষ্যৎ একটা বড় প্রশ্নের মুখে। যদিও বা এটা বিজেপি আগে থেকেই জানত যে, এই জোট আসলে একটা অশ্ব ডিম্ব ছাড়া আর কিছু নয়। আর বিশেষ করে যে জোটে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছে, সেখানে যে বিশ্বাসঘাতকতার একটা সুর আজ না হোক কাল তৈরি হবে, সেই সম্পর্কেও নিশ্চিত ছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার অঙ্গ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে আবার গোঁসা প্রকাশ করে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন যে, তার সঙ্গে নাকি রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের কেউ আলোচনা পর্যন্ত করেনি। ফলে তিনি এই রাজ্যে অন্তত কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে কোনো আলোচনা করবেন না। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, জোট একেবারে ভেঙে খান খান পর্যায়ে চলে এসেছে। কিন্তু কিছুদিন আগেও তো এই রাহুল গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে এক টেবিলে বসে দিল্লিতে নানা বৈঠক করেছিলেন। ফলে তিনি তার দিদির রাজ্যে এসে কেন সেই সমস্ত কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িতে গেলেন না! যে সমস্ত কংগ্রেস কর্মীরা তার দিদির রাজত্বে প্রতিমুহূর্তে আক্রমণের শিকার হয়েছেন, কেন তাদের জন্য দলের নেতা হয়ে দিদির বিরুদ্ধে মুখ খোলার মতো সাহস দেখালেন না রাহুল গান্ধী?

বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাথে নিয়েই কংগ্রেস নেতার রাহুল গান্ধী বিজেপির বিরুদ্ধে কি সব যেন কথা বলছিলেন! তার মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল, দেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। কিন্তু তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত বড় বড় কথা বিজেপির বিরুদ্ধে বলছিলেন, তার সেই শরিক দল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস, যদিও বা তারা এখন জোটে আছে কিনা, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া গেল যে, তৃণমূল এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে এই ইন্ডি জোটেই রয়েছে, তাহলে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রাজ্যে শাসন করছেন, সেখানে গণতন্ত্র আছে তো! কি বুঝতে পারলেন বাংলায় এসে রাহুল গান্ধী! তিনি কোচবিহারে আসতে না আসতেই তাকে ফেস্টুন দেখিয়ে, তাকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভ দেখানো হলো। তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে গোটা দেশে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করা রাহুল গান্ধীর সুর কি মিনমিনে হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গে এসে?

যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছেন যে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা সম্ভব নয়, সেখানে এত কিছুর পরেও কেন পশ্চিমবঙ্গে এসে তৃণমূলের প্ররোচনায় বিক্ষোভের মুখে পড়ার পরেও রাহুল গান্ধী সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা কথা বললেন না! অনেকে বলছেন, বললেন না, নাকি বলার সাহস পেলেন না? কারণ রাহুল গান্ধীও খুব ভালো মতো জানেন, এবার বিজেপিকে আটকানো সম্ভব হবে না। কিন্তু খবরে টিকে থাকতে একটা জোট যদি তৈরি করা যেত, তাহলে কিছুটা তারা মাইলেজ পেলেও পেতে পারতেন। কিন্তু সেটাও যখন ভেঙ্গে গিয়েছে, তাই রাজ্যে এসে কংগ্রেস কর্মীদের করুন আর্তনাদ শোনার প্রয়োজন না মনে করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপমান সহ্য করেও তার বিরুদ্ধে এবং এই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলার মত মেরুদণ্ড হলো না ভারতবর্ষের রাজনীতিতে পাপ্পু বলে পরিচিত রাহুল গান্ধীর।

তাই সেদিক থেকে যা হওয়ার, তা মঙ্গলই হয়েছে। এখন যা চিন্তা, সেটা বিরোধী জোটের। তারা জোট করবে, না জোট ভাঙবে, নাকি এই জগাখিচুড়ি জোট নিয়েই তারা বিজেপিকে হঠানোর স্বপ্ন দেখবে, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু বিজেপি আরও নিশ্চিত হয়ে গেল যে, তারা যেটা কল্পনা করেছিল, সেটাতেই সিলমোহর পড়ে গেল। জোটের নামে কার্যত লবডঙ্কা হচ্ছে। দক্ষিণ মেরু এবং উত্তর মেরুতে থাকা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল আর যাই হোক, কোনোমতেই বিজেপিকে সরাতে এক ছাতার তলায় আসতে পারবে না, এটা যত সময় যাচ্ছে, ততই নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলায় এসে এই ন্যায় যাত্রা করতে গিয়ে বিজেপির তরফে গণতন্ত্র নিয়ে বুলি আওড়ানো রাহুল গান্ধী চরম প্রশ্নের মুখে পড়ে গেলেন। ভারতবর্ষে যিনি গণতন্ত্র নিয়ে এত বড় বড় কথা বলছেন, তিনি বাংলায় এসে কেন নিজের কর্মীদের দুর্দশা দেখার পরেও ইন্ডি জোটে থাকা তার শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখালেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!