এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুলিশ নির্দোষ, মমতার নিষেধেই বহাল তবিয়তে শাহজাহান! বড় দাবি সুকান্তর!

পুলিশ নির্দোষ, মমতার নিষেধেই বহাল তবিয়তে শাহজাহান! বড় দাবি সুকান্তর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আহারে কি বেচারা পুলিশ! চেষ্টা করেও শুধুমাত্র তৃণমূল নেতা হওয়ার জন্য শেখ শাহাজাহানকে তারা ধরতে পারছে না। আর সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীদের কাছে কাচা কাচা গালিগালাজ খেতে হচ্ছে এই রাজ্যের প্রশাসনকে। আসলে এই প্রশাসনের মেরুদন্ডটাই ভেঙে দিয়েছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। সব সময় কি করে বিরোধী নেতাদের বাধা দেওয়া যায়, কি করে তাদের কেস দিয়ে জেলে ঢোকানো যায়, সেই সমস্ত কাজেই এই পুলিশকে প্রশিক্ষিত করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই আজকে এই রাজ্যের পুলিশের কাজ হয়ে গিয়েছে অপরাধীদের ধরা নয়, বরঞ্চ সেই অপরাধীদের ভয়ে টেবিলের তলায় লুকিয়ে থাকা।

সন্দেশখালির ঘটনাতেও তাই হয়েছে। সকলেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু এখানে একটু ভুল রয়েছে। পুলিশকে গালিগালাজ করে কোনো লাভ নেই। গোড়াতেই যখন গলদ, তখন পুলিশকে বলে কি হবে? সমস্ত দোষ তো এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে যিনি পরিচালনা করছেন, সেই ব্যক্তির। যিনি ওপর থেকে সমস্ত কলকাঠি নাড়ছেন, তার নির্দেশেই পুলিশ ইচ্ছা হলেও আইন রক্ষা করতে পারছে না। কারণ এই রাজ্যের প্রধান মহারানী, তিনি শেখ শাহাজাহানকে রক্ষা করতে চাইছেন। তাই পুলিশের আশ্রয়েই শাহজাহান বহাল তবিয়তে রয়েছেন, কিন্তু তাকে পুলিশ নাকি খুঁজে পাচ্ছে না।

আর ওপর তলা থেকে কে এই শেখ শাহাজাহানকে আশ্রয় দিচ্ছেন! কে এই রাজ্যের পুলিশের প্রধান ব্যক্তি! কে পুলিশ পরিচালনা করেন, তার নাম আর রাজ্যবাসীকে নতুন করে বলতে হবে না। আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই কিছু না জানার ভান করে এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী যতই নাটক চালিয়ে যান, তার এই নাটক বাংলার মানুষ আর খাচ্ছে না। এবার তার অভিনয় ধরা পড়ে যাচ্ছে। তাই এদিন সঠিক কথাটাই বলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার দাবি যে, মুখ্যমন্ত্রী বারণ করেছেন শেখ শাহজাহানকে ধরবার জন্য। তার নিষেধ রয়েছে সে জন্যেই পুলিশ ধরতে পারছে না। আসলে পুলিশ ইচ্ছা করেই তাকে ধরছে না।

স্বাভাবিক ভাবেই একটা জিনিস বোঝাই যাচ্ছে যে এই পুলিশের উপর দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সব দোষ এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর। পেছনে পর্দার আড়াল থেকে তিনি পুলিশকে যা নির্দেশ দিচ্ছেন, হতভাগা পুলিশ সেই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের মেরুদন্ড বলতে আজকে কিছু নেই, এটা প্রমাণিত। কিন্তু এই সরকারের প্রশাসনিক প্রধানকে খুশি করতে পারলে যে তাদের চাকরি টিকে থাকবে। তা না হলে যে তাদেরকে এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী এবং তার দপ্তর কোন দূরবর্তী থানায় পাঠিয়ে দেবে, তার কোনো ঠিকানা নেই। তাই নিজেদের পোস্ট বাঁচাতে, নিজেরা সুখে চাকরি করার জন্য একজন অভিযুক্তকে আড়াল করে রেখে এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীকে খুশি করে যাচ্ছেন দলদাস পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!