এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্নীতির সবটাই জানতেন মমতা ঘনিষ্ঠ, জেরায় ফাঁস গোপন তথ্য! আওয়াজ তুলছে বিজেপি!

দুর্নীতির সবটাই জানতেন মমতা ঘনিষ্ঠ, জেরায় ফাঁস গোপন তথ্য! আওয়াজ তুলছে বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় সংস্থা যে হাতে প্রমাণ নিয়েই ময়দানে নামে এবং তারা যে প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতি করে না, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। আর এই কথাটা স্পষ্ট করে দিলেন বর্তমানে গ্রেপ্তার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। হ্যাঁ, হয়ত শুনে অনেকে চমকে যাচ্ছেন। কিন্তু আসল বিষয় শুনলে গা শিউরে উঠবে। ভাববেন যে, তাহলে এতদিন এত নাটকের কি প্রয়োজন ছিল! কেন এতদিন ধরে তৃণমূল নেত্রী তথা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার করে বলছিলেন যে, তার আলালের ঘরের দুলাল বালুকে নাকি মিথ্যে ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে! বালুর নাকি কোনো অপরাধ নেই! এমনকি গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই বালুবাবুও তো অনেক বড় বড় গলায় অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ব্যাঙ্কশাল আদালতের যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা অত্যন্ত মারাত্মক। আর সেখান থেকেই পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, এবার আরও বড়সড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে চলেছে এই রাজ্যের শাসক দলের জন্য।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডি একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। আর সেখানেই তারা জানিয়েছে যে, জেরায় খাদ্যমন্ত্রী থাকার সময় রেশন বন্টনে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার সবটাই তিনি জানতেন বলে স্বীকার করেছেন এই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অর্থাৎ এতদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে অনেক নাটক জ্যোতিপ্রিয়বাবু করছিলেন। কিন্তু বিরোধীরা বারবার করে দাবি করছিল যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তই। বরঞ্চ এর সঙ্গে আরও অনেক বড় মাথারা রয়েছে, যারা এই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন বলেই এত বড় দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এতদিন ধরে কেন তিনি কোন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন, তিনি সৎ, এমন কথা বলে আসছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক?

অনেকে বলছেন, প্রকাশ্যে স্বীকার করতে একটু লজ্জা হয়। আসলে রাজ্যের মন্ত্রী তো! তিনি ভাবতেও পারেননি যে, তার চুরি এভাবে ধরা পড়ে যাবে। কিন্তু ইডির কাছে গড়গড় করে হয়তো সবকিছু বলে ফেলেছেন এই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে এটুকুই কি তিনি বলেছেন! নাকি এর থেকে অনেক বেশি কিছু বলেছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু যতটুকু জানা গিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, ভবিষ্যতে হয়ত আরও বড় কোনো তথ্য এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ফাঁস করে দিতে পারেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর সেটা যদি হয়, তাহলে এতদিন বিরোধীরা যে দাবি করছে যে, মাথাকে কবে ধরা হবে, সেই মাথা হয়ত খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে যেতে পারেন।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অবিলম্বে আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে পরবর্তী তদন্ত শুরু করা উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সবাই জানে, কার ইন্ধনে এত চুরি হয়েছে! এত বড় দুর্নীতি একা কেউ করতে পারে না। এতদিন বালুবাবু দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু ইডি খুব ভালো করেই জানে, কি করে মুখ থেকে কথা বার করতে হয়। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি যে দুর্নীতির সব কথা জানতেন, সেটা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। আর এবার ওপর তলা থেকে কেউ তাকে দুর্নীতি করতে প্রশ্রয় দিয়েছে কিনা, এর পেছনে পর্দার আড়ালে থাকা কোন বড় হেভিওয়েট রয়েছে কিনা, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। তাই এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা ব্যক্তিদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে রেশন দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে মূল মাথাকে ধরা উচিত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!