এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের মমতার চোখ রাঙ্গানি, বকেয়া নিয়ে সাত দিনের সময়সীমা! পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির!

ফের মমতার চোখ রাঙ্গানি, বকেয়া নিয়ে সাত দিনের সময়সীমা! পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সত্যি, পারেন বটে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বারবার করে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, আপনি টাকা চাইছেন কেন্দ্রের কাছে, সব ঠিক কথা। বাংলাকে কেন্দ্র বঞ্চনা করছে, সেটাও না হয় মেনে নেওয়া হল। কিন্তু এতদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকাটা দিয়েছে, তার হিসাবটা যখন কেন্দ্র চাইছে, তখন সেই হিসাবটা দিয়ে দিন। তাহলেই তো কেন্দ্রীয় সরকার পরবর্তী টাকা দিয়ে দেয়। কিন্তু এই সামান্য কাজটা না করে শুধুমাত্র বাংলার প্রতি বঞ্চনা করা হচ্ছে, আন্দোলনে নামা হবে ইত্যাদি, ইত্যাদি কথা বলে কেন বাজার গরম করছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান?

তিনি কি ভাবছেন যে, তার এই কথা রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস করছে? তিনি ভাবছেন যে, তিনি এখনও পর্যন্ত সততার প্রতীক আছেন, তার দলের কেউ বিন্দুমাত্র দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়, এটা রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস করে? কিছুদিন বকেয়া নিয়ে চুপচাপ ছিলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আবার তিনি আবার নতুন নাটক প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই শুরু করে দিলেন‌। এদিন তিনি আবার বলেছেন যে ৭ দিন সময় দেখা হবে। তারপরে তিনি নাকি এই বকেয়া নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। খুব ভালো কথা। তিনি আন্দোলনে নামতেই পারেন। কিন্তু এই আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চরম বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের মানুষ দেখেছেন যে, এই রাজ্যে দীর্ঘদিন রাজভবনের সামনের রাস্তাকে আটকে, সরকারি ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে ভাইপো কিভাবে বকেয়া ইস্যুতে দিনের পর দিন নাটকে আন্দোলন করেছেন। তারপর এই রাজ্যের মানুষ এটাও দেখেছেন যে, এই রাজ্যের স্বনামধন্য যুবরাজ তিনি একাধিক নেতা, সাংসদদের নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে কি পরিমান বিশৃঙ্খলা করেছেন! সাধারণ মানুষকে এটাও প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করেছেন এই বকেয়া ইস্যু নিয়ে। কিন্তু এত কিছুর পরেও কেন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না! এই সরল সত্যটা কেন মাথায় ঢুকছে না তৃণমূল নেত্রীর! আসলে তিনি ওই কথায় আছে না, মহৎ চালাকি করার চেষ্টা করছেন।

তিনি ভাবছেন, তার চালাকি কেউ ধরতে পারবে না। তিনি প্রতিবাদ করে বিজেপিকে খাটো করবেন এবং নিজের দলের নেতাদের করা চুরিটাকে আড়াল করে রাখবেন। কিন্তু না, এসবে আর চিড়ে ভিজবে না। তিনি  আবার বলেছেন যে, সাত দিন সময় সীমা দিয়ে দেখা হবে, যদি না হয়, তাহলে আবার নাকি বকেয়া টাকা ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেওয়া হবে। এখন বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলন করতেই পারেন। কিন্তু দিনের শেষে তো একটা প্রশ্ন প্রবল ভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে যে, কেন যে টাকার হিসেব কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে, সেই হিসাবটা দিচ্ছেন না? যদি সেই হিসেব দেওয়ার ক্ষমতা এই রাজ্যের না থাকে, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, কোথাও একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। সেই কারণে হিসেব দেওয়ার মতো ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রী নেই, বা এই সরকারের নেই।

আর যদি সেই হিসেব মুখ্যমন্ত্রী দিয়ে দেন এবং তারপরেও কেন্দ্র টাকা না দেয়, তাহলে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে, এই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে তারাও বাংলার বঞ্চনা নিয়ে মাঠে নামতে তৈরি। কিন্তু আগে এই রাজ্যকে এতদিন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে উন্নয়নের জন্য যে টাকা পাঠানো হয়েছে, সেই টাকার হিসেব দিতে হবে। তা না হলে গরিব মানুষের টাকা লুট বন্ধ করতে কেন্দ্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা ছাড়া আর বিকল্প কোনো পথ সত্যিই ছিল না। সেদিক থেকে বঞ্চনার অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী যে আন্দোলন করারই ভয় দেখান না কেন, তাতে আর যাই হোক, সাধারণ মানুষ বিচলিত নয়। তারা আগে এই চোরেদের সরকারকে উৎখাত করবে, তারপরে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কি করে এই রাজ্যে উন্নয়ন আনতে হয়, সেটা সাধারণ মানুষ নিজেরাই বুঝে নেবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!