এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ফেসবুক পোস্টের পরেই দিলীপকে বেনজির কটাক্ষ বাবুলের, বাড়ছে দূরত্ব!

ফেসবুক পোস্টের পরেই দিলীপকে বেনজির কটাক্ষ বাবুলের, বাড়ছে দূরত্ব!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তার সঙ্গে যে দিলীপ ঘোষের খুব একটা ভালো সম্পর্ক নেই, তা অনেক দিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। যেখানে নরেন্দ্র মোদীর একটি সভায় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। আর এবার ফেসবুকে পোস্ট করে রাজনীতি থেকে সরে আসার কথা বলার পরেই দিলীপ ঘোষের একটি মন্তব্যের পর পাল্টা তাকে কটাক্ষ করে একটি মন্তব্য করলেন সেই বাবুল সুপ্রিয়। যাকে কেন্দ্র করে দিলীপবাবু সঙ্গে বাবুলবাবুর মতানৈক্য প্রকাশ্যে চলে এলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয়র মান ভাঙানোর জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলেও, দিলীপ ঘোষের কথা তুলে ধরে বাবুল সুপ্রিয় নিজের অবস্থানে অনড় থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে একাংশের মধ্যে। ইতিমধ্যেই বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুকে পোস্ট করে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর থেকেই দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া, মন্ত্রীপদ থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া ইত্যাদি কারণ রয়েছে বলে দাবি করছেন অনেকে। আর তার মাঝেই দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাবুল সুপ্রিয়র পাল্টা মন্তব্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে চাপের মুখে ফেলে দিল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন বাবুল সুপ্রিয়। যেখানে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে তিনি সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়ে দেন। আর তারপরেই এই গোটা বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। যে প্রশ্নের উত্তরে তাৎপর্যপূর্ণ জবাব দেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, “কে কোথায় যাবেন, কোন দলে যাবেন, রাজনীতি করবেন কি করবেন না, তা নিয়ে আমি কি বলব।” আর দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে থাকা বাবুল সুপ্রিয় রীতিমতো শোরগোল তুলে দিয়েছেন। বস্তুত, বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুকে রাজনীতি ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করতেই তাকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। এদিন কুণাল ঘোষ এবং দিলীপ ঘোষকে পাল্টা জবাব দিতে দেখা যায় বাবুল সুপ্রিয়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে রবিবার ফেসবুক পোস্টে বাবুল সুপ্রিয় লেখেন, “এই ধরণের ব্যক্তিত্ব বা মন্তব্যের সাথে তো আর ডিল করতে হবে না। কত পজিটিভ এনার্জি বাঁচবে বলুন তো! যেটা অন্য সব কাজে লাগাতে পারব। নীচে দুটো টাটকা উদাহরণ দিলাম। প্রথমটির সৌজন্যে কুনাল ঘোষ, আর দ্বিতীয়টির শ্রীমান দিলীপ ঘোষ।” অর্থাৎ একদিকে কুণালবাবুকে কটাক্ষ এবং অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে রীতিমতো রাজনীতির ময়দান ছাড়ার আগে শোরগোল ফেলে দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। অনেকে বলছেন, প্রতিপক্ষ শিবিরের নেতা হিসেবে কুণাল ঘোষের মন্তব্যের জন্য তাকে কটাক্ষ করতেই পারেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু যেভাবে নিজের দলের রাজ্য সভাপতিকে সরকারিভাবে দলত্যাগ করার আগে সরাসরি ফেসবুক পোস্টের মধ্যে নিয়ে কটাক্ষ করলেন আসানসোলের সাংসদ, তাতে তার বিজেপির হয়ে যতটুকু সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তাও মিলিয়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই বনিবনা নেই আসানসোলের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। শনিবার ফেসবুক পোস্টে বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতি ত্যাগ করার পর কথা জানানোর পর অনেকেই ব্যাপারে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এমনকি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করার পর তিনিও তার জবাব দিয়েছিলেন। আর তারপরেই রীতিমতো রবিবার সাত সকালে আর একটি ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে সেই দিলীপ ঘোষের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। যাকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত বাবুল সুপ্রিয় সরকারিভাবে বিজেপি ত্যাগ না করলেও, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যে তার মতানৈক্য এবং বনিবনা না হওয়ার বিষয়টি সামনে চলে এল, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!