এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেষ্ট গড়ে তৃনমূল ধ্বংসের দুর্ধর্ষ মন্ত্র, দম দেখালেন শুভেন্দু! ঝড় রাজ্য রাজনীতিতে!

কেষ্ট গড়ে তৃনমূল ধ্বংসের দুর্ধর্ষ মন্ত্র, দম দেখালেন শুভেন্দু! ঝড় রাজ্য রাজনীতিতে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শুধু মুখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বললে হবে না। কাজেও তার প্রমাণ দিতে হবে। মিটিং মিছিলে যোগ দিয়ে আর ভাষণ দিয়ে কোনো লাভ নেই। নিজের এলাকায় দলকে জেতাতে না পারলে যে আগামী দিন বিজেপির ক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ আসছে, তা আর কেউ না বুঝুক, খুব ভালো বোঝেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই বিভিন্ন জায়গায় তিনি বারবার এই বিষয়টা তুলে ধরছেন যে, নিজ নিজ এলাকায় জয়লাভ করতে হবে বিজেপিকে। এক্ষেত্রে উদাহরণ স্বরূপ সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকের এত চোখ রাঙানি এবং সন্ত্রাস সত্ত্বেও নিজের বিধানসভায় বিজেপির জয় লাভের বিষয়টি তুলে ধরছেন শুভেন্দুবাবু।

প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। আর সেই এলাকাতেই পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলনে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর গলায় শোনা গেল জয়ের মন্ত্র। কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সংগঠনকে শক্তিশালী করে নিজের এলাকায় জয়লাভ করতে হবে। জয় না পেলে যে মুখের কথা দিয়ে কোনো কাজ হবে না এবং আগামী দিনে ক্ষমতা দখল সম্ভব নয়, তা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এক্ষেত্রে নন্দীগ্রাম নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দুটো পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির ক্ষমতা দখলের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি যেমন কথা বলেন, তেমন কাজটাও করেন। তবে তার মতই সেই সমস্ত কাজ করতে হবে রাজ্যের প্রত্যেকটি এলাকায় ছড়িয়ে থাকা বিজেপি নেতৃত্বকে। তাহলেই বিভিন্ন জায়গায় জয় আসবে। আর সেই জয়কে একত্রিত করে ক্ষমতায় আসবে ভারতীয় জনতা পার্টি।

একাংশের মতে, সত্যিই দম রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর। এমন একটা লোককে কেন বিজেপি তাদের সংগঠনিক দায়িত্ব দিচ্ছে না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। যে সমস্ত নেতারা রাজ্য বিজেপির মাথায় রয়েছেন, তাদের সকলেই যে ফেলিওর, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু নিজের এলাকাটা জিতিয়ে দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনি কাজের কাজটা করছেন। তাই তার মত নেতাকে গোটা রাজ্যে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কাজে লাগালে অনেক বেশি লাভবান হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সেই শুভবুদ্ধির উদয় কবে হবে? যে সমস্ত নেতারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের পরখ করার জন্য আর কত সময় নেবে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো করে জানেন, বীরভূম তৃণমূলের কতটা শক্ত ঘাঁটি। তিনি এটাও খুব ভালো করে জানেন যে, এখানে প্রতিমুহূর্তে বিজেপি নেতা কর্মীদের কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়, তৃণমূলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে কিভাবে লড়াইয়ের ময়দানে থাকতে হয়। কিন্তু কর্মীরা লড়াই করবে, আর সেই সময় তারা মন মত নেতা পাবে না, সেটা তো হয় না। তাই শুভেন্দু অধিকারী সঠিক অভিভাবকের মতো তাদের পাশে দাঁড়ালেন। বীরভূমের মাটি থেকেই তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার মন্ত্র বেঁধে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, প্রত্যেকটি বিজেপি নেতা কর্মীকে নিজের এলাকায় মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে এবং দিনের শেষে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে‌ যদি জয় না নিয়ে আসা যায়, তাহলে এসব লড়াইয়ের কোনো মূল্য নেই। যা তিনি নন্দীগ্রামে করে দেখিয়েছেন।

বিধানসভায় যেমন তৃণমূলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন, ঠিক তেমনই পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। হ্যাঁ, হয়তো তিনি জেলা পরিষদ দখল করাতে পারেননি। কিন্তু অন্যান্য জেলায় বিজেপির অনেক বড় বড় নেতা থাকা সত্ত্বেও কেন তারা একটিমাত্র পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পারেনি? কেন তারা শুভেন্দু অধিকারীর মতো নিজের এলাকায় বিজেপির সাফল্য আনতে পারেননি? সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!