মমতার খেলা শেষ, বাংলার পঞ্চায়েত এবার মোদীময়! আনন্দ উচ্ছ্বাস বিজেপির! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 20, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একটা নতুন ট্রাডিশন শুরু হয়েছিল। নবান্ন থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের ঘর, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে পৌরসভা, সর্বত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখা যেত। কিন্তু এবার সেখানে বদল আসতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিকে অসম্মান করে নয়। বরঞ্চ যে সমস্ত পঞ্চায়েতে বিজেপি জিতেছে, এবার সেই সমস্ত জায়গায় লাগানো হচ্ছে দেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি এবং ভারত মাতার ছবি। যার ফলে একটা জিনিস স্পষ্ট হচ্ছে যে, তৃণমূলের গা জোয়ারি, দখলদারির রাজনীতি ধীরে ধীরে শেষের মুখে। ইতিমধ্যেই বীরভূমে একটি কর্মসূচিতে গিয়ে করিধ্যা পঞ্চায়েত দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিন বীরভূমের করিধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে বিজেপির সমস্ত জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির পাশে লাগিয়ে দেওয়া হয় দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভারত মাতার ছবি। বলা বাহুল্য, বিজেপি এবার এই পঞ্চায়েত দখল করলেও, সেখানে তাদের কোনোরূপ ছবি লাগাতে দেওয়া হচ্ছিল না। কিন্তু এবার শুভেন্দু অধিকারী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সেই অসম্ভবকে সাধন করলেন। বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিকে তারা অসম্মান করেনি। বরঞ্চ দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং ভারত মাতার ছবি লাগিয়ে তার সম্মানকে বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল এতদিন নিজেদের গা জোয়ারী দেখিয়েছিল, তবে এবার বিজেপি করিধ্যার পর সমস্ত জায়গায় পঞ্চায়েতে জিতেছে, সেই সব পঞ্চায়েতে এই সমস্ত ছবি লাগাবে। একাংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি যদি থাকে, তাহলে কেন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভারত মাতার ছবি থাকবে না? কেন তৃণমূল সেখানে বাধা দেবে? তাদের এত বড় ঔদ্ধত্য হয় কি করে? অনেকে বলছেন, রাজ্যে গণতন্ত্রটাই নেই। যেখানে বিরোধীরা সামান্য কথা বলার মত সুযোগ পায় না, তাদের পুলিশ দিয়ে আটক করা হয়, সেখানে পঞ্চায়েতে এই সমস্ত ছবি লাগানো হবে, এটা কার্যত দুঃস্বপ্ন ছিল এতদিন। কিন্তু এবার শুভেন্দু অধিকারী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিজেপির জন প্রতিনিধিদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতমাতা এবং রাষ্ট্রপতির ছবি লাগিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের খেলা কার্যত শেষ হয়ে যেতে বসেছে।তাদের কথা মতোই সবকিছু চলবে, এটা ভুল। আর বিজেপি তো কোনো নেতা-নেত্রীর ছবি লাগায়নি। দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগিয়েছে। এতে তো আপত্তি থাকার কিছু নেই। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সেখানে লাগানো থাকলেও, বিজেপি তাকে সম্মানিত করে খুলে ফেলেনি। তার ছবির পাশেই রাষ্ট্রপতি, ভারতমাতা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগিয়েছে। তাই এক্ষেত্রে যদি তৃণমূল রাজনীতি করার চেষ্টা করে, তাহলে তা ভুল হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো করে জানেন, কি করে কাটা দিয়ে কাটা তুলতে হয়। বাংলার রাজনীতিকে প্রচন্ডভাবে কলুষিত করেছে এই তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে সরকারি দপ্তরগুলোকে তারা পার্টি অফিসে রূপান্তরিত করে দিয়েছে। তবে এবার তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিজেপির দখল করা পঞ্চায়েতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতমাতার ছবি লাগিয়ে দিল গেরুয়া শিবির। হ্যাঁ, এখন রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। তারা এইসব দেখে এই পঞ্চায়েতে হয়তো বা রাজ্যের উন্নয়ন পৌঁছে দেবে না। কিন্তু বিজেপিও দাবি করেছে যে, কেন্দ্রের প্রকল্পগুলো যাতে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে ঠিকমতো পৌঁছে যায়, তার জন্য চেষ্টা করবেন তারা। অর্থাৎ শুধুমাত্র চোখ রাঙানি দিয়ে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে যে তৃণমূল আর কোনো কিছুই আটকে রাখতে পারবে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন বিরোধী দলনেতা। যার ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এবার হয়তো খেলা ঘুরতে শুরু করলো। এত জয়ের পরেও তৃণমূলের গলায় ফুটতে শুরু করলো কাঁটা। যাকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে শাসকদলকে বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আপনার মতামত জানান -