এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে তুলতে সরকারের নয়া উদ্যোগ

এবার রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে তুলতে সরকারের নয়া উদ্যোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  একবছর হয়ে গেল রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ রয়েছে। লকডাউন এর প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে দেশজুড়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ রাজ্যেও সেরকমই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে কয়েক মাস আগে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিন যাবার পরেই আবার করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্কুল-কলেজ সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সুদীর্ঘকাল বাড়িতে থাকার ফলে বহু ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে বলে শোনা যাচ্ছে। তাই পড়াশোনার দিকে মনোযোগী করতে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এবার বিশেষ পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের।

জানা গিয়েছে ঘরবন্দি পড়ুয়াদের পড়াশুনায় মনোযোগী করে তুলতে এবার মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া হল প্রত্যেককে। প্রসঙ্গত, এই প্রস্তাব বহু আগেই রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের কাছে পেশ করেছিল শিক্ষক সংগঠনগুলি। অবশেষে তাঁদের প্রস্তাব মেনে নেওয়া হলো বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য শিক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে ‘বাংলা শিক্ষা পোর্টাল’ নামক ওয়েবসাইটে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রত্যেকটি ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা করে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া হয়েছে।

জুন মাসের মিড-ডে-মিল যখন দেওয়া হবে, সে সময় অবিভাবকদের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই টাস্ক পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে নির্দেশিকা পৌঁছেছে সরকারীভাবে। প্রসঙ্গত মনে করা হচ্ছে, অতিমারির কারণে দীর্ঘ এক বছর ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। আর তাই ছাত্র-ছাত্রীদের মডেল টেস্টের মাধ্যমে পঠন-পাঠনে আগ্রহী করে তুলতে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ। এবং এই মডেল টাস্ক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি হারিয়ে যাওয়া আগ্রহ ফেরাবে বলে মনে করছেন শিক্ষক এবং অভিভাবকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গিয়েছে, 2021 এর শিক্ষাবর্ষে পড়াশোনা শুরু করার জন্য ‘মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ এর প্রথম ও দ্বিতীয় পাঠ বাংলার শিক্ষা পোর্টাল থেকে প্রিন্ট করে অভিভাবকদের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে স্কুল তাদের কম্পোজিট গ্র্যান্ট থেকে যাবতীয় খরচ তুলবে। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, ডি আইদের মাধ্যমে প্রত্যেক স্কুলকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত দিতে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ তাঁদের গার্জিয়ান মিড-ডে-মিল নিতে আসে, সেইহেতু তাঁদের হাত দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে এই টাস্ক।

কিন্তু নবম ও দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা মিড ডে মিল পায়না। তাই তাঁদের কাছে কীভাবে এই মডেল টাস্ক পৌঁছে দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু বলা নেই। অন্যদিকে এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ক্রমাগত এই দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছে শিক্ষা দপ্তরের কাছে। অবশেষে সরকার এই আবেদন মেনে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা যথেষ্ট প্রশংসাজনক।

তবে শিক্ষক সমিতি অভিযোগ জানিয়েছে, মডেল অ্যাক্টিভিটি প্রকাশ হলেও তা অত্যন্ত নিম্নমানের। প্রত্যেকটি বিষয়ে দায়সারা প্রশ্ন রাখা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষক সমিতি থেকে জানানো হয়েছে, টাস্কের সাথে সংশোধিত সিলেবাস প্রকাশ করে এবার অনলাইন ক্লাস এবং টেলি এডুকেশন যেন চালু করে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত রাজ্য শিক্ষা দপ্তর কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। আপাতত মনে করা হচ্ছে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ছাত্র-ছাত্রীদের পুরোটা না হলেও কিছুটা উৎসাহ প্রদান করবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!