এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নিয়োগ দুর্নীতির বড় কীর্তি ফাঁস! গোপন জবানবন্দিতে ঘুম উড়বে মমতার? চমকে দিল সিবিআই!

নিয়োগ দুর্নীতির বড় কীর্তি ফাঁস! গোপন জবানবন্দিতে ঘুম উড়বে মমতার? চমকে দিল সিবিআই!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে বড় দুর্নীতি, শিক্ষা দপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতি। যে দুর্নীতি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জেলের দরজায় পৌঁছে দিয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক। তবে তদন্তের গতি প্রকৃতি এত ধীর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী শিবিরকেও। কেন সিবিআই খুব দ্রুত তদন্ত করে আসল মাথাদের গ্রেপ্তার করছে না, তার দাবি উঠতে শুরু করেছে। আর তার মাঝেই এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর তাদের এই পদক্ষেপ যে ভবিষ্যতে রাজ্যের শাসকদলের সবথেকে শীর্ষে থাকা মাথার চিন্তা বাড়িয়ে দিতে পারে, ফেঁসে যেতে পারে গোটা দুর্নীতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়া একটা বড় স্তম্ভ, তাতে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

সকলেরই প্রশ্ন, কি এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করল সিবিআই, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে! বিশেষ সূত্র মারফত খবর, নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে এতদিন তদন্ত চলেছে, কিন্তু এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যেখানে চারজন চাকরিপ্রার্থীর বয়ান রেকর্ড করতে চলেছে তারা। ইতিমধ্যেই সেই ব্যাপারে আলিপুর আদালতে একটি আবেদন পেশ করেছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দুজন চাকরি প্রার্থীর বয়ান রেকর্ড করা হবে। পরবর্তীতে তা আদালতের কাছে তুলে দেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূলত এই চার চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে পুরো দুর্নীতির আসল রহস্য এবং প্রচুর তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। অন্তত তেমনটাই মনে করছে সিবিআই। আর সেই কারণেই তাদের এই পদক্ষেপ। তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এটাও বলা হচ্ছে যে, তদন্ত চলার পর থেকে কারও বয়ান সেভাবে রেকর্ড করা হয়নি। তবে এই প্রথম চাকরিপ্রার্থীদের বয়ান তারা রেকর্ড করে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে তারা।

একাংশ বলছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে যে তৃণমূলের অনেকেই জড়িত, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নিজে জেলে রয়েছেন। মানিক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে আরও এক, দুজন বিধায়কের সেই একই অবস্থা। এমনকি সেই সময় সরকারি আধিকারিকের দায়িত্বে ছিলেন, এমন অনেকেই গ্রেফতার হয়ে রয়েছেন। তবে মূল মাথা কবে গ্রেপ্তার হবে তা নিয়ে চাকরিপ্রার্থী থেকে শুরু করে বিরোধীদের মধ্যে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু আসল জায়গায় পৌঁছতে গেলে চাই প্রকৃত তথ্য। তাই সেই কারণে সেই তথ্য সংগ্রহের জন্য চার চাকরি প্রার্থীর বয়ান রেকর্ড করে তা আদালতের হাতে তুলে দিয়ে দুর্নীতির আসল পাণ্ডাদের ঘুম উড়িয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিরোধীদের দাবি, সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ শাসকদলের মুখোশ খুলে দেবে। ইন্ডিয়া জোট করতে গিয়ে দুর্নীতির যে পর্দাফাঁস হবে, তাতে ঘুম উড়ে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের। ফলে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রকৃত শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়নি। অর্থের বিনিময়ে যে সেই সমস্ত চাকরি বিক্রি করা হয়েছে, তা নিয়ে আর সন্দেহ নেই। যদি সেই ব্যাপারে সন্দেহ থাকতো, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। তবে যে সমস্ত শিক্ষিত বেকার চাকরিপ্রার্থীরা এখনো পর্যন্ত রাস্তায় বসে রয়েছেন, তারা চাইছেন সুবিচার। তাই তাদেরকে সুবিচার পাইয়ে দিতে গেলে দ্রুত এই তদন্ত শেষ করে মূল মাথাদের গ্রেফতার করতে হবে। তাই সেদিক থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গিয়ে যদি সিবিআই আবার আঠারো মাসে বছর করে, তাহলে তাদের ভূমিকা নিয়েও যে ক্ষোভ বাড়বে, সেই সম্ভাবনাও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে যা করতে হবে, তা দ্রুত সম্পন্ন করে শিক্ষা দপ্তরকে দুর্নীতির মুক্তাঞ্চল থেকে রক্ষা করার দাবি জানাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!