এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর নামে FIR করা উচিৎ? ৬ মাসেই সাফ তৃণমূল? একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সৌমিত্রর

মুখ্যমন্ত্রীর নামে FIR করা উচিৎ? ৬ মাসেই সাফ তৃণমূল? একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সৌমিত্রর


করোনার মহামারীর সময়েও বাংলায় রাজনীতি কমছে না। যত দিন যাচ্ছে, ততই সরকার এবং বিরোধী মধ্যে তরজা চরম আকার ধারণ করছে‌। প্রথমদিকে করোনা মোকাবিলায় সকলকে হাতে হাত ধরে লড়াই করার ব্যাপারে শোনা গেলেও, বর্তমানে সেই ঐক্যবদ্ধ রুপটি আর নেই। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে এখন সব হয়েছে বিরোধীরা। সঠিক মাত্রায় টেস্ট না হওয়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপির মত রাজনৈতিক দল।

আর এমত পরিস্থিতিতে এবার কিছুটা ভিন্ন প্রশ্ন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। যেখানে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে দালাল বলে দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যেই করোনা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন এই বিজেপি সাংসদ।

মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে কটাক্ষ করে সৌমিত্র খান বলেন, “নীল-সাদা বাড়িতে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি নিয়ে মিথ্যে কথা বলছেন আর দালালি করছেন মুখ্যসচিব। আর ছটা মাস যেতে দিন, এরা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে‌। একদিকে চাল চোর, গম চোর, আর অন্যদিকে শুধু প্রচার।” বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এখন বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে। এক্ষেত্রে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেক সময় প্রশাসনিক পদের উর্দ্ধে উঠে নজিরবিহীনভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তিনি। যার ফলে তার মত প্রশাসনিক কর্তার দায়িত্ব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার সেই ব্যাপারে মন্তব্য করে মুখ্যসচিবকে বেনজির আক্রমণ করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এদিন কেন্দ্রের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর 25 হাজার কোটি টাকা চাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “সেই টাকা নিয়ে কি সিঙ্গাপুর না মালয়েশিয়ায় যাওয়া হবে! পাপ কিন্তু বাপকেও ছাড়ে না।” বর্তমানে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক দূরত্বকে না মেনে রাস্তায় নেমে প্রচার করছেন। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা।

এদিন সেই ব্যাপারে মুখ খুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে বেশি রোগ ছড়াবেন। তাই তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা উচিত বলে দাবি করেন সৌমিত্র খান। আর নিজের কথার একদম শেষে পুলিশ আধিকারিকদের কিছুটা হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় এই বিজেপি সাংসদকে। তিনি বলেন, “যেসব পুলিশ আধিকারিক জেলে ঢোকানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তারা জেনে রাখুন, জেলে ঢুকিয়ে কাউকে শেষ করা যায় না। সরকার পরিবর্তনের পরে রাজনীতিকরা তো জায়গা করে নেবেন, কিন্তু মুশকিলে পড়বেন আপনারাই।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌমিত্র খানের এই শেষ মন্তব্যের ভেতরে কিছুটা হলেও পরোক্ষ হুমকি লুকিয়ে ছিল। তবে করোনার মত ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যেভাবে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে তিনি রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন, তাতে ব্যাপক শোরগোলের সৃষ্টি হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!