তৃণমূল নেত্রীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গে কি বললেন একদা তাঁর অনুগত সৈনিক, জানলে চমকে যাবেন রাজ্য November 15, 2018 কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হটাতে ফেডারেল ফ্রন্টের জল্পনা অনেকদিন আগে শুরু হয়েছে ।অ্যাডাল্ট গঠন হলে ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীকে হবে তার নিয়ম শুরু হয়েছে জল্পনা। অ্যাডাল্ট গঠন হলে ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ম শুরু হয়েছে জল্পনাতৃণমূলের নেতাকর্মীদের একাংশের মতে যদি ফেডারেল ফন্ট জয়ী হতে পারে তবে ২০১৯ এ দিল্লির মসনদে বসবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা নিয়ে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখলেন একদা তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বুধবার মালদাহে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে তিনি বলেন “কোনওদিনই কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র দখল করার অলীক স্বপ্ন দেখছেন।” লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে পদ্মশিবির। আর সেই প্রস্তুতিরই অঙ্গ হিসেবে মালদহ জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার প্রাক লোকসভা ভোটের আলোচনায় বসেন মুকুল। বৈঠক শেষে বুধবার তিনি একটি মালদাহের এক হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র দখল করা আদতে ‘অলীক স্বপ্ন’।”পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ”চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে বৈঠক করে ২৪২টি আসন পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অলীক স্বপ্ন দেখছেন। এই রাজ্যে বর্তমানে কোনও গণতন্ত্র নেই। রাজ্যের মানুষকে মদের নেশায় আসক্ত করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঢালাও মদ বিক্রির লাইসেন্স দিচ্ছেন। শিল্প অথবা কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করে রেভিনিউ বৃদ্ধির কোনও প্রচেষ্টা নেই এই রাজ্য সরকারের।” মুকুলবাবুর মত, “বাম আমলে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবাবুকে উদ্দেশ্য করে বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান দিতেন ‘রাম রাজমে ঘি মিলে, কৃষ্ণরাজ মে দুধ। বুদ্ধরাজ মে চুল্ল মিলে, গুম গুম কে পি।’ কিন্তু আজ সেই মমতাই রাজ্য জুড়ে মদের লাইসেন্স দিয়ে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করছেন।” এদিন রাজ্যের নাম পাল্টানো নিয়েও শাসক দলকে তোপ দেগে মুকুল রায় বলেন “পশ্চিমবঙ্গের নাম পাল্টে বাংলার ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার একটা অতীত ইতিহাস রয়েছে যার সাথে পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম বাংলা দুটি নাম জড়িত। আমাদের পরিষ্কার স্ট্যান্ড ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় না থাকলে বাংলার কোনও অস্তিত্বই থাকত না।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এরপরই তিনি ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন। এদিনের বৈঠকে মুকুল রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরাতন মালদহ জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থী উজ্জ্বল চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। আপনার মতামত জানান -