এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে বাধা, কিন্তু তৃণমূলকে ছাড়? ফল ভুগবে মমতা পুলিশ, কটাক্ষ বিজেপির!

শুভেন্দুকে বাধা, কিন্তু তৃণমূলকে ছাড়? ফল ভুগবে মমতা পুলিশ, কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আর কতদিন এইভাবে মানুষের কন্ঠরোধ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কতদিন আর বিরোধীদেরকে বিভিন্নভাবে আটকে দিয়ে নিজের দলকে সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেবেন তিনি! সন্দেশখালির মত এলাকা, যেটা উত্তপ্ত তৃণমূলের জন্য, তৃণমূলের শাসন দেখে মানুষ বিরক্ত, সেখানকার মহিলারা যা বলছেন, তা শুনে লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে গোটা রাজ্যের মানুষের। কিন্তু তারপরেও বিরোধীরা যখন সেই এলাকায় যেতে চাইছে, তখন ১৪৪ ধারা যেখানে নেই,, সেখানেই বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি বিধায়কদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আগামীকাল নাকি সেখানে যাবেন তৃণমূলের দুইজন প্রতিনিধি। আর এই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হয়ত পুলিশ যে দলদাসের মত আচরণ করে, তাতে তারা তৃণমূলের এই দুই প্রতিনিধিকে সেই এলাকায় ভালো করেই নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু বিজেপির প্রতিনিধি দল এবং বিরোধী দলনেতাকে আটকে দেওয়া এবং তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সন্দেশখালি পৌঁছে দেওয়া, পুলিশের এই দুই ভিন্ন নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধী শিবিরের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আগেই জানিয়েছিলেন যে, সোমবার তিনি বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে করে নিয়ে সন্দেশখালি যাবেন। আর প্রত্যাশা মতই সন্দেশখালির বহু আগেই বাসন্তী হাইওয়েতেই গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। দীর্ঘক্ষন সেখানে বসে থাকেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য বিরোধী বিধায়করা। ১৪৪ ধারার আগেই কি করে বিজেপির গাড়ি আটকে দেওয়া হলো, সেই প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এই প্রশাসনের কাছে উত্তর চেয়ে লাভ নেই। তবে আগামীকাল যদি তৃণমূলের দুইজন প্রতিনিধি সন্দেশখালি পৌঁছে যায়, তাহলে কিন্তু সেই বিষয় নিয়ে বিরোধী দলনেতা যে আইনের দরজায় যাবেন এবং তৃণমূলকে এবং তাদের প্রশাসনকে যে আচ্ছামত টাইট দেবেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

অনেকে বলছেন, এত দলদাসের মত আচরণ করার পরেও যদি প্রশাসন শেষ সীমা লঙ্ঘন করে, বিজেপির ক্ষেত্রে এক আইন এবং তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের জন্য আর এক আইন এই সন্দেশখালির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন, তাহলে কিন্তু সত্যিই ভেবে নিতে হবে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন প্রবল চিন্তায় রয়েছেন। তিনি ভাবতে পারছেন না যে, তার ক্ষমতা চলে যেতে পারে। তাই সন্দেশখালির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে গোটা রাজ্যে যখন প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, তখন নিজের দলকে সেখানে পৌঁছে দিয়ে একটা সিমপ্যাথি আদায়ের চেষ্টা। কিন্তু সেখানে প্রশাসনের পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ তৈরি হলে এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ তৈরি হবে, তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, এই রাজ্যের প্রশাসন যে দলদাসের মতো আচরণ করছে, সেটা আরও বেশি করে প্রমাণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই আজকে বিরোধীদের আটকানো হলো। কিন্তু কালকে হয়ত তৃণমূলের দুইজন নেতা ঠিক সন্দেশখালি পৌঁছে যাবেন। কিন্তু এত কিছু করে তিনি যদি মনে করেন যে, সন্দেশখালির মানুষের মন পাবেন, সেখানকার প্রতিবাদী মানুষদের কন্ঠরোধ করে দেবেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন। মানুষের মধ্যে যে জনজাগরণ হয়েছে, তা এত সহজে কমবে না। আগামী দিনে এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ গোটা রাজ্যজুড়েই তৈরি হবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিপদ আসন্ন বুঝে এই কাজ করা ছাড়া হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর কোনো উপায় নেই। তবে তিনি খুব ভুল করলেন আজকে বিরোধী দলনেতা এবং বিরোধী বিধায়কদের আটকে দিয়ে। পুলিশকে তিনি নির্দেশ দিতেই পারতেন যে, নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যা বেঁধে দাও। সেই সংখ্যা নিয়ে সন্দেশখালি যেতে পারবে বিরোধী দল। কিন্তু সেটা না করে সবাইকে আটকে দেওয়ার পর যদি কালকে সেই পুলিশ তৃণমূল নেতা, মন্ত্রীকে যেতে দেয়, তাহলে কিন্তু তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আর শেষ পর্যন্ত যদি এই ইস্যুকে সামনে রেখে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আদালতের দরজায় গিয়ে সোচ্চার হন, তাহলে আরও চাপে পড়বে নবান্ন। এই রাজ্যের প্রশাসন যে পক্ষপাত মূলক আচরন ছাড়া আর কিছুই করতে জানে না, সব জায়গায় পুলিশ দিয়ে যে প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!