লকডাউন মানতে নারাজ টিকিয়াপাড়া পুলিশ পেটাল! তাড়া করে ইটবৃষ্টি র্যাফের উপরে! রাজ্য হাওড়া-হুগলি April 29, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকানোর জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে, লকডাউন ভঙ্গ করে মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন। যার ফলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই মানুষদের বাড়িতে যাওয়াতে বাধ্য করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশ সদর্থক পদক্ষেপ নিলেও, কিছু কিছু মানুষ সেই পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর আঘাত হানছে। যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলায় বড় প্রশ্ন তৈরি করছে। আর এবার লকডাউনের মান্যতা দিতে গিয়ে কিছু মানুষের নিগ্রহের শিকার হল পুলিশকর্মীরা। যার ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়ার টিকিয়াপাড়া এলাকা। জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে এই টিকিয়াপাড়া এলাকায় বহু মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। আর সেই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে উপস্থিত জনতাকে বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। আর এতেই শুরু হয় উত্তেজনা। অভিযোগ, পুলিশ একথা বলার পরই কিছু যুবক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, সেই যুবকদের পক্ষ থেকে রাস্তায় ফেলে মারা হয় পুলিশকর্মীদের। বেশকিছু দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয়। আর এর পরেই কোনো উপায় না দেখে পুলিশের পক্ষ থেকে নামানো হয় র্যাফ। তবে র্যাফ নামানোর পর পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আশা করা হলেও, র্যাফের লোকজনকেও মারধরের অভিযোগ ওঠে সেই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, পুলিশ ভালোর জন্য লকডাউনকে মান্যতা দিতে সকলকে ঘরে ঢোকার আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু তা না শুনে যেভাবে কিছু যুবক উত্তপ্ত হয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ আনল, তাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ” কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা চিহ্নিত করতে হবে। পুলিশকে কাজ করতে দেওয়া হবে না, এটা হতে পারে না।” এদিকে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। করোনা মোকাবিলায় প্রশাসন সাহায্য করছে। একজন নাগরিক এবং প্রশাসনের কর্মী হিসেবে মনে করি, পরিস্থিতি মোকাবিলা করা উচিত। তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হয়ত দোষীদের গ্রেপ্তারও করা হবে। কিন্তু যেখানে পুলিশ দিনরাত এক করে কাজ করছে শুধুমাত্র মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য, সেখানে তাদেরই যদি সুরক্ষা না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন! প্রশ্নটা উঠছে বিভিন্ন মহলে। আপনার মতামত জানান -