এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপির প্রার্থী চূড়ান্ত, ঘোষণা হতেই বিধানসভায় সংবর্ধনা শুভেন্দু্র!

বিজেপির প্রার্থী চূড়ান্ত, ঘোষণা হতেই বিধানসভায় সংবর্ধনা শুভেন্দু্র!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এক সময় যখন বিজেপিতে কেউ ছিলেন না, সেই সময় দুর্দিনের সঙ্গী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন রাহুল সিনহা, শমীক ভট্টাচার্যরা। অনেকেই বলেন, বিজেপি পুরনোদের সম্মান দেয় না। বিশেষ করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই কথা মাঝেমধ্যেই বলতে শোনা যায়। কিন্তু বাংলা থেকে একটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ পেয়েই বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমন একজনকে বেছে নিল, যিনি কিন্তু পুরনো দিনের সৈনিক। তার নাম শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যে এখন দিকে দিকে পদ্মফুল ফুটতে শুরু করেছে। সব জায়গায় বিজেপি প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে শাসকের বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়াই দিচ্ছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপির সেই নির্দিষ্ট সংখ্যা হয়েছে যে, তারা এই বাংলা থেকে একজন রাজ্যসভায় প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন। তাই শুধু হাতছাড়া না করে পুরোনো দিনের সৈনিককে পাঠিয়ে পুরোনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দলে যে যোগ্য ব্যক্তিদের মর্যাদা দেওয়া হয়, তা বুঝিয়ে দিল গেরুয়া শিবির। আর রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই বিধানসভায় জমকালো আয়োজন করলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিরোধী বিধায়করা।

প্রসঙ্গত, গতকাল রাজ্যসভায় বিজেপির প্রার্থী হিসেবে শমীক ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করা হয়। আর তারপরেই পুরনো দিনের অনেক স্মৃতিচারণ করেন শমীকবাবু। এদিন রাজ্য বিজেপির এই মুখপাত্রকে বিধানসভায় ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে সংবর্ধনা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্লোগান দিয়ে শমীক ভট্টাচার্যকে অভিনন্দন জানাতেও দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বাঙালি বাঙালি করেন। কিন্তু এই বাংলা থেকে তিনি এবার কজনকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করেছেন? যে চারজনকে তিনি প্রার্থী করেছেন, তার মধ্যে বেশিরভাগই তো এই বাংলার লোক নন। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঙালি প্রেম কোথায় গেল! আর বিজেপি একটি সিট পেয়েছে। আর সেই সিট থেকেই তারা বাঙালি তো বটেই, অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং সুবক্তা শমীক ভট্টাচার্যকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে বাংলা নিয়ে জাতীয় স্তরে আওয়াজ তুলতে চাইছেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এক সময় যখন বিজেপির কোনো প্রতিনিধি বিধানসভায় ছিল না, তখন অনেক কথা শুনতে হয়েছিল এই শমীক ভট্টাচার্যদের মত নেতাদের। তারা যখন পার্টি অফিসে বসে থাকতেন, তখন তাদের কটাক্ষ করে কম কথা বলেননি তৎকালীন বাম সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু আজকে বিজেপি সেই সংখ্যা পেয়েছে বলেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে একটি আসনে তারা রাজ্যসভায় প্রতিনিধি পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী দিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যত সময় আসবে, ততই জাতীয় স্তরে এই বাংলার দুরাবস্থা নিয়ে সোচ্চার হবেন শমীক ভট্টাচার্যের মত ব্যক্তিরা। আর এর ফলেই খুব তাড়াতাড়ি রাজ্য বিধানসভায় শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যাবে বিজেপিকে। পরিবার বাদের বিসর্জন ঘটিয়ে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হবে সুশাসন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!