এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনে কেন্দ্রের ভূমিকায় বাড়ছে ক্ষোভ! বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

লকডাউনে কেন্দ্রের ভূমিকায় বাড়ছে ক্ষোভ! বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে ভারতবর্ষে কিছুটা হলেও শিথিল হয়েছে। অন্যান্য দেশ এই ভাইরাসের গুরুত্ব প্রথমদিকে অতটা উপলব্ধি করতে না পারায়, তারা লকডাউনের পথকে বেছে নিতে পারেনি। তবে যেহেতু শেষের দিকে এই করোনা ভাইরাস ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছে, সেহেতু অন্যান্য দেশকে দেখে ভারত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে প্রথম ধাপেই লকডাউনের পথে নিয়ে গেছে দেশকে। যা নিঃসন্দেহে অনেকটা সুফল এনে দিয়েছে দেশবাসীকে।

তবে এখনও ভারতবর্ষ করোনা ভাইরাস থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত, তা বলা যাবে না। বর্তমানে 21 দিনের লকডাউন শেষে আবার 19 দিনের লকডাউন চলছে ভারতবর্ষে। আগামী 3 মে 19 দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু তারপর আবার লকডাউন বৃদ্ধি করা হবে কিনা, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে‌। সোমবার দেশের প্রতিটি রাজ্যের পরিস্থিতি বুঝতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আর এই বৈঠকের পরই রীতিমতো কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, লকডাউন বজায় থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হয়েছে। যে সমস্ত জায়গাগুলো গ্রীন জোন বলে পরিচিত, সেখানে কিছু দোকানপাট খোলার কথা বলা হয়েছে। আর কেন্দ্রের সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে সমস্ত রাজ্য সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু কেন্দ্রের সাথে বৈঠকে বারবার লকডাউন কড়া করার কথা বলা নিয়ে এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে কোনো স্বচ্ছতা নেই। একদিকে বলছেন খুব কড়া করতে হবে। আবার বলছে, সব দোকান খুলে দাও। আমরা তো চাই দোকান খুলতে। কিন্তু তাহলে তো লোকে যাতায়াত করবে। ভিড় হবে, লকডাউন ব্যর্থ হবে। তাহলে কোনটা করব! কেন্দ্র যা বলছে, তাতে ক্ল্যারিটির অভাব আছে। আমরা ঝগড়া করতে চাই না। করোনার সাথে ফাইট করতে চাই মানুষের স্বার্থে। আমি তো লকডাউনের পক্ষে। তাহলে দোকান কি করে খুলব! দোকান খুললে কি করে বলব, দোকানে যাবেন না।”

এদিন রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রীন জোনগুলো নিয়েও নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই জোনগুলোর ক্যাপাসিটি কী হবে, তা নিয়ে আমরা পরশু আলোচনা করব। আশা করি, ক্ল্যারিটি দেওয়া হবে। সেন্ট্রাল পলিসি ঠিক করে দেয়, প্রয়োগ করতে হয় রাজ্যকে। রাজ্য ভালো করলে প্রশংসা করে না। খারাপ করলে নিন্দা করে। তারা কি চাইছে, তা পরিষ্কার হলে তবেই নিজেদের আগামী সিদ্ধান্তের কথা জানাব।” এদিকে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত লকডাউন বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো ঘোষণা না করলেও, আগামী 21 মে পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন বজায় থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে কথা বলেছেন, তা কিছুটা হলেও তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা লকডাউন যদি কড়া হয় এবং যদি দোকানপাটও খোলা হয়, তাহলে মানুষ বাইরে বেরোবে। আর মানুষ যদি বাইরে বেরোনড় তাহলে সেই আইন ভঙ্গ হবে। ফলে সেদিক থেকে কোনঝ এক ব্যাপারে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর সেকথাই এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তুলে ধরলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!