গ্রেপ্তার না করলেই হাজিরা, শাহজাহানের এত ভয়? মুখে ঝামা ঘষলো আদালত! তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা রাজনীতি রাজ্য February 12, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কতটা নির্লজ্জ হলে, কতটা মান সম্মান না থাকলে এই ধরনের কাজ করা যায় বলুন তো? এমনিতেই তো পুলিশের আশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন ছে শেখ শাহাজাহান। কিন্তু তারপরও তার লজ্জা বলতে কিছু নেই। আজকে আবার তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি সেখানে না গিয়ে আদালতে নিজের আইনজীবী পাঠিয়েছিলেন। আর আইনজীবী পাঠিয়ে যে আবেদন করলেন, তা শুনে অনেকেই চমকে উঠবেন। কেউ কেউ তো বলছেন, একেই হয়তো বলে চোরের মায়ের বড় গলা। কেউ কেউ আবার বলছেন, তিনি নাকি সন্দেশখালির বাঘ। তাহলে গ্রেফতার হওয়ার ভয় পাচ্ছেন কেন? কেন তাকে বারবার আদালতের কাছে রক্ষাকবচ চাইতে হচ্ছে? তবে শেষ পর্যন্ত আদালত যেভাবে সেই শেখ শাহজাহান এবং তার আইনজীবীর মুখে ঝামাটা ঘষে দিয়েছেন, তাতে কিন্তু বেজায় খুশি সন্দেশখালি থেকে শুরু করে গোটা রাজ্য। কিন্তু কি হয়েছে আজ আদালতে? প্রসঙ্গত, আজ ব্যাংকশাল আদালতে শেখ শাহজাহানের আইনজীবী একটি আবেদন করেন। যেখানে তিনি বলেন, “দুদিনের জন্য রক্ষাকবচ দিন। তাহলেই আজ হাজিরা দেবেন শেখ শাহজাহান।” আর সেই আবেদনকে একেবারে নাকচ করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির পক্ষ থেকেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, এত কেন ভয় পাচ্ছেন? এটা তো অনেকটা ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনির মত ব্যাপার। গ্রেফতারি হবে না, এরকম কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অনেকে বলছেন, চারিদিকে এত আওয়াজ উঠছে, সবাই অভিযুক্তের গ্রেপ্তারির দাবি করছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কেন শেখ শাহজাহান গা ঢাকা দিয়ে রেখেছেন? হ্যাঁ, তার কাছে হয়তো তার নেত্রী পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছেন, ভাইপো তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন, হতেই পারে এমনটা। কিন্তু তাই বলে নিজস্ব লজ্জা বা মেরুদন্ড বলে কিছু থাকবে না? কেন তিনি সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা হওয়ার পরেও কেন্দ্রীয় সংস্থার মুখোমুখি হওয়ার মত সাহস দেখাবেন না? আর যদি সাহস নাই বা দেখাতে পারেন, তাহলে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন কেন! অন্যায় করে যদি এইভাবে গা ঢাকা দিয়ে থাকেন, আবার আদালতের কাছে আবেদন করেন যে, তাকে গ্রেফতার করা যাবে না, তাহলে তিনি হয়ত মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। তিনি হয়তো ভেবে নিয়েছেন যে, তার নেত্রীর পুলিশ দলদাস বলে সবকিছুই তাদের কথা মত চলবে। কিন্তু আদালত আইন বলে তো কিছু একটা রয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত আজকে শেখ শাহজাহানের ঘুম আবার কেড়ে নিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। পর্যবেক্ষকদের মতে, অত্যাচারীর শেষের সময় চলে এসেছে। যেখানেই থাকুন না কেন শেখ শাহজাহান, তিনি যে প্রচন্ড ভয়ে রয়েছেন, তা বোঝাই যাচ্ছে। আর তিনি যে খুব একটা দূরে নেই, সেটাও স্পষ্ট। কারণ তা না হলে আদালতের কাছে তার আইনজীবী এটা বলতে পারে না যে, রক্ষাকবচ দিলে আজকেই হাজিরা দেবেন শেখ শাহজাহান। আর এই ঘটনা সামনে আসার পর দুটো জিনিস একেবারে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, রাজ্য পুলিশ খুব ভালো করেই জানে, শেখ শাহাজাহান কোথায় রয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই ধরছে না। আর দ্বিতীয়ত, সামনে আসতে ভয় পাচ্ছেন শেখ শাহাজাহান। যেভাবে মানুষের বিক্ষোভ হচ্ছে, যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি গর্জে উঠেছে, তাতে তিনি সামনে এলে তার ভবিষ্যৎ আর বাড়ির ভেতরে কাটবে না। বরঞ্চ তিনি যে জেলে যাবেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত। আর সেই কারণেই আতঙ্কিত হয়ে নির্লজ্জের মত আড়ালে থেকে আইনজীবী মারফত আদালতের কাছে আবেদন করলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত সব আবেদন নাকচ করে দিল। ফলে এসব করে আর কতদিন? আজ না হোক কাল, চরম দুঃসময় ঘনিয়ে আসছে শেখ শাহজাহানের জন্য। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -