এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পুঁততে ১৯-এর ব্রিগেডে মমতা ব্যানার্জি শুধুই ‘শ্রোতা’? জল্পনা বাড়ালেন নিজেই

বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পুঁততে ১৯-এর ব্রিগেডে মমতা ব্যানার্জি শুধুই ‘শ্রোতা’? জল্পনা বাড়ালেন নিজেই


ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এখন সাজো সাজো রব। কারণ ১৯ জানুয়ারি আসতে আর ২৪ ঘন্টাও বাকি নেই। দফায় দফায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে মঞ্চ প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তার দিকটা খতিয়ে দেখে গিয়েছিলেন। এসেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। তিনিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করে খুঁটিনাটি বিষয় জেনে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যস্তরের বেশ কয়েকজন নেতা এবং কোলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক।

প্রস্তুতির দিকটি খতিয়ে দেখার পরই সাংবাদিকদের সম্মুখীন হন তিনি। বলেন,”ব্রিগেডের সভায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ৩ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং কয়েকজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন জাতীয় স্তরের নেতাও উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা তাঁদের নিজেদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি শুধু শুনব। কারও ওপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। কংগ্রেসের সঙ্গে একই মঞ্চে থেকে বিজেপি-‌র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামা হবে।‌”

প্রসঙ্গে কংগ্রেসের জাতীয়স্তরের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অভিষেক মনু সিংভির নামও তুলে ধরলেন তিনি। আরো জানান,কুমারস্বামী, অখিলেশ, শারদ পাওয়ার, বিএসপি-‌র সতীশ মিশ্র, শারদ যাদব, ফারুক ও ওমর আবদুল্লা, বাবুলাল মারান্ডিরা কোলকাতা এসে পড়বেন আজই। টানা চার দশক পর এতো বড় ব্রিগেড জনসমাবেশ হচ্ছে কোলকাতায়। এই মহাসমাবেশকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেই ব্যাখ্যা করলেন তিনি। বললেন,এই ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ থেকেই বিজেপিমুক্ত ভারত গড়ার ঐক্যবদ্ধ ডাক দেওয়া হবে। বিজেপি-র কফিনে পেরেক মারা হবে।

বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী-ঘনিষ্ঠ সতীশ মিশ্র আসায় ব্রিগেড সভার গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গেল বলে মনে করছেন নেত্রী। এই বিজেপি বিরোধী সমাবেশে যে মায়াবতীর সমর্থন রয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল। এর জেরে জাতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহনযোগ্যতা বেড়ে গেল। আগামীকালের ব্রিগেড জনসমাবেশের মঞ্চ থেকেই বিজেপি বিরোধী জোটের বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। লোকসভা ভোট জয়ের পরবর্তী রণকৌশল নির্ধারিত হবে। বিজেপি যে তার জনবিরোধী নীতির ফলে মানুষের মন থেকে দূরে সরে গিয়েছে। তাই ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে শান্তিপূর্ণ ভারত গড়ার লক্ষ্যে বিজেপি সরকার পতনের ডাক দেবে মমতা সহ বিজেপি বিরোধী নেতারা। এমনটাই অভিমত অভিজ্ঞমহলের।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ব্রিগেডের ময়দানে থাকাকালীনই সন্ধ্যে নেমে আসে। তবুও নিরাপত্তার দিকটা ভালো করে পুলিশ আধিকারিকদের কাছ থেকে ভালো করে জেনে নেন তিনি। সুষ্ঠুভাবে যাতে সভা হয় তার জন্যে নেতাদের সঙ্গে কথাও বলে নেন তিনি। ব্রিগেডের মাঠে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন,’ব্রিগেডের সভার শেষে বাইরের রাজ্যের নেতাদের চা-‌চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সৌজন্যের এই অনুষ্ঠান হবে বিকেল ৪টেয়। যাঁরা আসছেন, তাঁরা যদি মিডিয়াকে কিছু বলতে চান, তার ব্যবস্থাও করা হবে।’

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরো জানান,বিজেপি বিরোধী এই মহা সমাবেশে বামেদের আমন্ত্রণ জানালেও তাঁরা সে প্রস্তাবে সাড়া দেননি। তা নিয়ে নেত্রীর অন্তরে কোনো ক্ষোভ নেই বলেই স্পষ্ট করে দেন তিনি। বলেন,অনেকেরই নানান বাধ্যবাধকতা আছে। এনিয়ে তাঁর আলাদা করে বলার নেই কিছু। তবে আগামী নির্বাচন আঞ্চলিক দলগুলির নির্ণায়ক শক্তি হবে। আর ১৯৯৩ সালে বামেদের মৃত্যুঘন্টার তৃণমূলের উত্থানের মাধ্যমেই বেজেছিল।

উল্লেখ্য, এদিন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে ট্যুইটেও লেখা হয়েছে,ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বিজেপি-‌র মৃত্যুঘণ্টা বাজানো হবে। সেই কর্মসূচিতে সবাইকে সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা,হিন্দি,ইংরাজি,ওড়িয়া এই চারটি ভাষায় এই ট্যুইটটি করা হয়। অতীতে যে কবার ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছে তার থেকে এটি গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হেভিওয়েট নেতারা আসছেন৷ আসছেন জাতীয় নেতারাও।

তৃণমূল নেতারা মনে করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে এঁরা প্রত্যেকেই বিজেপি বিরোধীতার সরব হয়ে উঠবেন। সমবেত আক্রমণের মাধ্যমে এবারের লোকসভা ভোটেই বিজেপিকে কেন্দ্রের সিংহাসনচ্যূত করবে। এই ১৯’এর লোকসভা ভোটে বিজেপি আঞ্চলিক শক্তিজোটের দাপট দেখবে বলেই আগাম ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং এটাও বলে দেন,বিজেপি এবার নির্বাচনে ১২৫ টির বেশি আসন পাবে না। এরপর ১৯ জানুয়ারির মঞ্চ থেকে মমতা সহ অন্যান্য বিজেপিবিরোধী হেভিওয়েট নেতারা কী বার্তা দেন সেদিকেই নজর রয়েছে আমজনতার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!