এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভয়াবহ সন্দেশখালি, মা-বোনেদের আর্তনাদ শুনে স্তম্ভিত রাজ্যপাল!

ভয়াবহ সন্দেশখালি, মা-বোনেদের আর্তনাদ শুনে স্তম্ভিত রাজ্যপাল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন সন্দেশখালি না এসে তিনি যে মস্ত বড় ভুল করেছিলেন, তিনি যে এই রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিকমত বুঝতে পারেননি, তা হয়তো আজকে টের পেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনি এমনি তো আর বিরোধীরা তার দরজায় গিয়ে ডেডলাইন বেধে দিয়ে আসেনি। কারণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানেন যে, সেখানে কি পরিমান অত্যাচার মা বোনেদের সঙ্গে হয়েছে! তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে জন্যই আজকে প্রকাশ্যে তারা মুখ খুলে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এলাকায় একটা সন্ত্রাসের পরিবেশ। তাই আজকে রাজ্যপাল সেখানে পৌঁছে যেতেই মা-বোনেরা তাকে ঘিরে ধরলেন, তাদের আর্তনাদের কথা জানালেন।

আতঙ্কিত মহিলাদের মুখ থেকে শোনা গেল যে, রাজ্যপাল চলে গেলে আবার তাদের বিপদ নেমে আসতে পারে। তাই এলাকা ছাড়ার সাথে সাথেই যেন রাজ্যপাল এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেন, তার জন্য আবেদন করলেন সন্দেশখালী নারী শক্তিরা। স্বাভাবিকভাবেই মাতৃ শক্তি যখন রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে এইরকম আশঙ্কার কথা বলছেন, তখন বুঝতে হবে যে, এই সন্দেশখালির ভেতরেই এখন মূল অভিযুক্তরা রয়েছেন। তারা ভয় পাচ্ছেন এতটাই যে, সেই অভিযুক্তরা আবার তাদের ওপর আক্রমণ করতে পারে। সেই কথা রাজ্যপালের কাছে জানিয়ে দিচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই আর এক সেকেন্ডও সময় না নিয়ে এই সন্দেশখালিকে পরিস্থিতিকে ঠিক করতে যাদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তাদের কঠোর শাস্তির দাবি রাজ্যপালের কাছে জানাতে শুরু করেছেন গোটা বাংলার প্রতিবাদী মানুষরা।

প্রসঙ্গত, আজ কেরল সফর কাটছাঁট করে বাংলায় ফেরেন সিভি আনন্দ বোস। আর তারপরেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তিনি সোজা চলে যান সন্দেশখালিতে। আর সেখানেই মা-বোনেরা তাকে ঘিরে ধরেন। তাদের অভাব অভিযোগ জানাতে শুরু করেন সন্দেশখালি মহিলারা। রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, রাজ্যপাল চলে গেলে আবার তাদের ওপর অত্যাচার হতে পারে। তাই যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। প্রয়োজনে তাদের ফাঁসির দাবি করতেও দেখা যায় মহিলাদের।

অনেকে বলছেন, কতটা আতঙ্কে, কতটা বিপদের মধ্যে রয়েছেন এই সন্দেশখালীর মা-বোনেরা, তা তো তাদের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। তারা প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে ভয় পাচ্ছেন যে, আবার তাদের কাছে না কোনো কুপ্রস্তাব আসে। ফলে এতদিন পর তারা যখন মুখ খুলেছেন, তখন রাজ্যপাল আসার পর তাদের ওপর আবার একটা বিপদ নেমে আসতে পারে, এই আশঙ্কা এবং ভয় তাদের মধ্যে রয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত নিজেদের বাঁচানোর জন্য সাংবিধানিক প্রধানের কাছে যাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, যাদের পুলিশ ধরছে না, তাদের যাতে কঠোর শাস্তি হয় সেই আবেদন করে নিজেদের কাতরতার কথা ব্যক্ত করলো সন্দেশখালীর নারীশক্তি।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, এবার আর চুপ করে বসে থাকা উচিত নয় রাজভবনের। রাজ্যপাল নিজেই তো দেখলেন যে, মহিলারা কতটা অসহায়! তাহলে সেই সমস্ত মহিলাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি নেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যপালকে একটা কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা এত বড় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, যাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তাদের পুলিশ যেহেতু ধরছে না, সেহেতু এই পুলিশকে শিক্ষা দিতেই হবে। তা না হলে নারী শক্তিদের এই হাহাকার, এই যন্ত্রণা আরও বাড়তে শুরু করবে। তাই রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়ে কলকাতায় ফিরে চুপচাপ হাত গুটিয়ে যদি বসে থাকেন, তাহলে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে রাজ্যের মানুষের কাছে একটা বড় প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হবে। অবিলম্বে সন্দেশখালি নিয়ে এই সরকারের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি মূল অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি প্রদানের নির্দেশ রাজ্য পুলিশকে দিতে হবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপাল এতদিন একটা সহজ সরল ভাবমূর্তি নিয়ে চলার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি সরকারের সঙ্গে কোনো গন্ডগোলে যাননি। কিন্তু এত কিছুর পরেও যদি তিনি নীরব থাকেন, তাহলে একটা বড় সমস্যার সৃষ্টি হবে। শুভেন্দু অধিকারী যে টাইটটা দিয়েছেন, তারপর নড়েচড়ে বসেছে রাজভবন। আর সেই কারণেই আজকে রাজ্যপাল এলাকায় পৌঁছলেন। আর তিনি এলাকায় গেলেন বলেই আসল সত্যিটা মহিলাদের কাছ থেকে জানতে পারলেন। ফলে এবার আর হাত গুটিয়ে বসে না থেকে স্তম্ভিত রাজ্যপাল একটা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এই সন্দেশখালি নিয়ে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!