এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এত জঘন্য মমতা পুলিশ? “লেডি কিম” বলে গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!

এত জঘন্য মমতা পুলিশ? “লেডি কিম” বলে গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তাকে নাকি বিজেপি সরাতে পারবে না! তার নাকি বিজেপিকে দেখে কোনো ভয় নেই! তাহলে কেন পুলিশ দিয়ে সেই সন্দেশখালীর নিপীড়িত মা বোনেদের কাছে বিরোধীদলকে পৌঁছে যেতে দেওয়া হল না? কেন এই ফ্যাসিস্ট কার্যকলাপ করছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী? প্রথম থেকেই এমনটা এই রাজ্যের দলদাস পুলিশের কাছ থেকে আশাই করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি ভেবেই নিয়েছিলেন যে, বিধানসভার গেটেই হয়ত তাদেরকে আটকে দেওয়া হবে। কিন্তু তা না করে কিছুদূর যেতেই বিজেপি বিধায়কদের বাস আটকে দিল এই রাজ্যের পুলিশ। আর তার সাথে সাথেই সেই বাসে বসে থেকেই নিজেদের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে ভয়ংকর শব্দে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এত কিছুর পরেও এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের লজ্জা হবে কি? বিন্দুমাত্র গণতন্ত্র রক্ষার দিকে তিনি কি নজর দেবেন! নাকি ব্যর্থতা ঢাকবার জন্য সব সময় পুলিশ দিয়ে বিরোধী দলকে হেনস্থা করা হবে?

প্রসঙ্গত, নিজেদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বিধানসভার গেট থেকেই একটি বাসে করে সন্দেশখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু বাসন্তী হাইওয়ের কাছেই তাদেরকে পুলিশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। আর তারপরেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে “লেডি কিম” বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “চোর মমতা ভয় পেয়েছে। লেডি কিম ভয় পেয়েছে।” এখন অনেকে বলতেই পারেন যে, এই ধরনের শব্দ প্রয়োগ কেন হবে? কিন্তু কেন বলা হবে না বলুন তো? শুভেন্দু অধিকারী বা বিরোধী দল আর কত ধৈর্য ধরবে? মহিলারা যে কতটা মান সম্মান বিকিয়ে সন্দেশখালিতে থাকছেন, তারা কতটা অসহায়! তা তো টিভির পর্দাতে চোখ মেললেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু তারপরেও বিরোধী দল যখন সেখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছে, সেখানেও তাদের সন্দেশখালির কাছে না যাওয়ার আগেই আটকে দেওয়া হচ্ছে, এটা কি ধরনের আচরণ? এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর তো উচিত ছিল যে, যে সেখানে যেতে চায় যেতেই পারে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সংখ্যা তিনি বেধে দিতে পারতেন। পুলিশকে সেই মত নির্দেশ দিতে পারতেন। কিন্তু একেবারেই গণতন্ত্রের কন্ঠকে রুদ্ধ করে পুরো বিরোধী দলকে আটকে দেওয়ার যে চেষ্টা এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী করলেন, তা গণতন্ত্রের জন্য একটা কালো দিন হয়ে থাকবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, পুলিশ প্রশাসনের এই ফ্যাসিস্ট আচরণের বিরুদ্ধেই তো রাজ্যের মানুষ গর্জে উঠছে। সন্দেশখালি সেখানে পথ দেখিয়েছে। আগামী দিনে গোটা বাংলা সেই পথেই হাঁটবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষ তাদের আন্দোলনকে ধীরে ধীরে বাড়াতে শুরু করেছেন। যত এই ভাবে পুলিশ দিয়ে আটকে দেওয়ার চেষ্টা হবে, ততই ভোট বাক্সে নিজেদের বিপদ ডেকে আনবে এই শাসক দল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী যখন পুলিশকে এত আক্রমণ করছেন, তারপরেও কি এই পুলিশ প্রশাসনের মেরুদন্ড সোজা হচ্ছে না? তারা নির্লজ্জভাবে এভাবেই কি দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার কাজ করে যাবেন? ওপরতলার নির্দেশের জন্য তাদের ভাবভূর্তি যে ক্ষুন্ন হচ্ছে, প্রতিমুহূর্তে প্রতি সেকেন্ডে, সেটা কি তারা অনুভব করতে পারছেন না? নাকি শুধুমাত্র সরকারের ওপরতলার কর্তা, ব্যক্তিদের কাছে ভালো থাকার জন্যই এই ধরনের আচরণ করছে এই রাজ্যের প্রশাসন? যদি তাই হয়, তাহলে আগামী দিন কিন্তু তাদের পক্ষেও খুব একটা সুখকর হবে না। কারণ আর যাই হোক, তৃণমূল চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না। মানুষ তাদের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। আর যে সমস্ত প্রশাসনিক কর্তা, ব্যক্তিরা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিরোধীদলের কণ্ঠরোধ করছেন, মানুষের কাছে পৌঁছতে দিচ্ছেন না, তাদেরকেও কিন্তু চিহ্নিত করে রাখছেন গণতন্ত্রপ্রেমী প্রতিবাদী জন সাধারণ।

তবে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর বাধা পেতেই শুভেন্দু অধিকারী “লেডি কিম” বলে যেভাবে এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন, তারপর অন্তত তার চক্ষু লজ্জা বলে কিছু একটা থাকা উচিত। সন্দেশখালির ঘটনায় তিনি যে ব্যর্থ, সেটা তো প্রমাণিত। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করার মত সময় এখনও আছে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই আক্রমণ থেকে শিক্ষা নিয়ে একটু অন্তত প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করার দিকে নজর দিন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!