এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লক্ষ্য সন্দেশখালি! বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে বাসে চড়লেন শুভেন্দু !

লক্ষ্য সন্দেশখালি! বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে বাসে চড়লেন শুভেন্দু !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গত শনিবারই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজভবনে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সোমবার বিজেপি বিধায়করা একত্রিত হয়ে বিধানসভা থেকে বাসে করে সন্দেশখালি যাবেন। সেখানকার মানুষের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, যেভাবে মহিলারা নিজেদের হাহাকারের কথা বলছে, তাতে বিরোধী দল হিসেবে আর চুপ করে বসে থাকতে পারছে না বিজেপি। ঘরে বাইরে এমনিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাবু করে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে সন্দেশখালি নিয়ে তারা যে পরিমাণ আন্দোলন শুরু করেছেন, তাতে কাঁপছে নবান্ন। তবে শুভেন্দু অধিকারী কোনো আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ দেখেন না। তাই মহিলাদের পাশে থাকতে, মা-বোনেদের সম্ভ্রম বাঁচানোর জন্য আজ বিধানসভা থেকেই বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সেই সন্দেশখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, প্রায় 50 জন বিধায়ককে সঙ্গে করে নিয়ে বিধানসভার সামনে থেকে বাসে ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, যেখানেই প্রশাসন আটকে দেবে, সেখানেই তারা বসে পড়বেন। স্বাভাবিকভাবেই এই বাস কতদূর যাবে, সেটা নিয়ে একটা প্রশ্ন রয়েছে। কারণ এই রাজ্যের প্রশাসন সামান্য বিরোধীদের সভা-সমিতি করতে দেয় না। সেখানে সন্দেশখালীর মত এত জ্বলন্ত ইস্যুতে বিরোধী দলকে যে সেই এলাকার ধারে কাছেও পৌঁছতে দেওয়া হবে না, তাতে নিশ্চিত একাংশ। কিন্তু কণ্ঠরোধ করলে বিরোধীরা রাজনীতি করার বেশি সুযোগ পেয়ে যাবে।

তাই বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিরোধী বিধায়করা যখন মানুষের পাশে দাঁড়াতে সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন, তখন সেখানে প্রশাসনের সহযোগিতা করা উচিত। তবে এই দলদাস প্রশাসনের কাছ থেকে এমন কিছু আশা করাই বৃথা। তাই তারা বিরোধী দলনেতার সঙ্গে যদি তেমন কিছু অসভ্য ব্যবহার করেন, তাহলে তার ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে। কারণ শুভেন্দু অধিকারী ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। প্রশাসন যদি আটকে দেয়, তাহলে কেন আটকাচ্ছেন এবং যেখানে 144 ধারা নেই, তার আগেই কেন আটকে দেওয়া হচ্ছে! সেই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলে কি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পুলিশকে টাইট দিতে হয়, তা আজ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝিয়ে দেবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, নির্লজ্জ প্রশাসনের কাছ থেকে বাধাদান ছাড়া আর কিই বা আশা করে যেতে পারে? এরা প্রতিমুহূর্তে বিরোধী দলকে আটকে দিতে চায়। এক্ষেত্রেও হয়ত তেমনটাই হবে। কিন্তু বর্তমান বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেসের মত নয়। চোখে চোখ রেখে এই পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হবে যে, কেন তারা আটকে দিচ্ছেন? কেন সন্দেশখালিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী?

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপাল আজ সন্দেশখালিতে পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু কোনো সাংবিধানিক প্রধানের ওপর ভরসা রেখে রাজ্যের বিরোধী দল যে রাজনীতি করে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথায় কথায় বলা হয়, রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, যদি তাই হত, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিরোধী বিধায়কদের কিন্তু সন্দেশখালি যাওয়ার কোনো প্রয়োজন হত না। কারণ আজকে রাজ্যপাল সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী কারও মুখাপেক্ষী হয়ে রাজনীতি করতে পছন্দ করেন না। মানুষ বিপদে পড়েছে, তাই সেখানে পৌঁছে যেতে হবে। ফলে অন্তর থেকেই তিনি রাজনীতি না করে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই মহিলাদের আর্তনাদ অনুভব করেই, এই সরকারের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্যই সন্দেশখালি উদ্দেশ্যে নিজের বিধায়কদের নিয়ে রওনা দিয়েছেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!