এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিরোধীদের হাতে থাকা প্রায় ৭০% সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই বিধানসভা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল

বিরোধীদের হাতে থাকা প্রায় ৭০% সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই বিধানসভা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের কাছে বড় সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিজেপির বাড়বাড়ন্তে তৃণমূল কংগ্রেস চারটি আসন গত লোকসভা নির্বাচনে বেশি পেয়েছিল। আর তার কারণেই সংখ্যালঘুদের সমর্থনের জন্য সেভাবে বিজেপির দিকে সংখ্যালঘুদের সমর্থন নেই বলেই দাবি করেন সকলে। তবে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় গেরুয়া শিবিরের প্রভাব না থাকলেও সিপিএমের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের মহসিন আলি 13 হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

তবে এবার সেই বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করতে সংখ্যালঘুদের সমর্থন পাখির চোখ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। তার কারণেই এখন সমস্ত রকম চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে শাসক দল। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির পাশাপাশি দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা।

অনেকে বলছেন, ভোট বড় বালাই। তাই সিপিএমের দখল করা এই কেন্দ্রে সংখ্যালঘুদের সমর্থন পেতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছেন শাসক দলের নেতাকর্মীরা। তবে তৃণমূলের কাছে বাড়তি পাওনা হিসেবে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের সিপিএম বিধায়ককে নিয়ে নানা অভাব-অভিযোগ। সাধারণের অভিযোগ, ভোটে জেতার পর সিপিএম বিধায়ককে আর এলাকায় দেখা যায়নি। রাস্তাঘাট সংস্কার থেকে শুরু করে মানুষের কোনো প্রয়োজনে তিনি এলাকায় ছিলেন না। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে এখন তৃণমূল ময়দানে নামতে আরও উদ্যোগী হতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের ভগবানগোলা 2 ব্লকের সভাপতি আবদুর রউফ বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে আমরা 13 হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলাম। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে 13 হাজারের ব্যবধান মুছে 10 হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছি। কাজেই ভগবানগোলা বিধানসভা আসনের আমাদের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।” তবে সিপিএমের জয় নিয়ে তৃণমূল সংশয় প্রকাশ করলেও তাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন স্থানীয় বিধায়ক মহসিন আলি। তিনি বলেন, “বিধায়ক তহবিলের সবটা দিয়েই কাজ করেছি। কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ হয়নি বলে শাসকদল মিথ্যা প্রচার করছে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, সংখ্যালঘু এলাকায় তৃণমূলের কাছে এবারের নির্বাচন সবথেকে বড় টার্গেট। কেননা এমনিতেই মিম সহ একাধিক সংখ্যালঘু ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক দল এবারে বাংলায় প্রার্থী দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সেই পরিস্থিতিতে ভোট কাটাকুটিতে লাভবান হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সেই দিকটা মাথায় রেখেই ভগবানগোলা বিধানসভা আসনে সংখ্যালঘুদের বেশি সমর্থন রয়েছে এবং স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে।

তাই সিপিএমের দখল করা এই আসন তৃণমূলের কাছে পাখির চোখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে মানুষের পাশে দাঁড়াতে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজে লাগিয়ে জনতার কাছের মানুষ হতে শুরু করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। সব মিলিয়ে মানুষের মন জয়ে তৃণমূল কতটা সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!