এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দার্জিলিং নিয়ে কি পুরনো জোটসঙ্গীর হুঙ্কারে চাপে পড়ে গেল গেরুয়া শিবির? বাড়ছে জল্পনা

দার্জিলিং নিয়ে কি পুরনো জোটসঙ্গীর হুঙ্কারে চাপে পড়ে গেল গেরুয়া শিবির? বাড়ছে জল্পনা


উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং আসনটি গত 2014 র লোকসভা নির্বাচনে মোর্চার সাথে সমঝোতা করে দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবারে বিজেপির সেই আশায় যে জল পড়তে চলেছে মঙ্গলবার রিচমন্ড হিলের গেটে দাঁড়িয়ে সেই কথাই স্পষ্ট করে দিলেন জিটিএ তথা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিনয় তামাং। হঠাৎ কি এমন হলো যার কারণে 5 বছরের মধ্যেই পাল্টে গেল পূর্ণাঙ্গ সমীকরণ?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে তৎকালীন মোর্চার সমস্ত দায়িত্ব ছিল বিমল গুরুং, রোশন গিরিদের হাতে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তারা দুই জনই ফেরার। বর্তমানে মোর্চার সমস্ত দায়িত্বে এসেছেন বিনয় তামাং। আর এদিন যখন উত্তরবঙ্গের মালদায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুংকার ছেড়ে রাজ্যের 22-23 টি আসন নিজেদের দখলে নেওয়ার কথা বলছেন

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, ঠিক তখনই পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে মোর্চা প্রধান বিনয় তামাং বলেন, “আমরা আর বিজেপি তথা এনডিএর শরিক নই। এখন আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার সহযোগী।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে নাম না করে ফেরার বিমল গুরুংকেও কটাক্ষ করে এদিন বিনয় তামাং বলেন, “যাদের ভরসায় এত লাফাচ্ছেন ক্ষমতা থাকলে সেই বিজেপি দলের প্রার্থীকে নিয়ে পাহাড়ে একবার প্রচার করে দেখাক।” তাহলে কি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই দার্জিলিং লোকসভা আসনটিতে তৃণমূলই শেষ হাসি হাসবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে মোর্চা প্রধান বিনয় তামাংয়ের কৌশলী মন্তব্য, “মমতাদির ব্রিগেড সমাবেশে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধি হিসেবে আমি আর অনিত থাপা সেখানে গিয়েছিলাম। আপনারা সকলেই জানেন মোর্চা নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত একটি রাজনৈতিক দল। আগে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হোক। তার পর প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে আলোচনা করা যাবে।”

তবে মোর্চার পাশাপাশি পাহাড়ের রাজনীতিতে গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টও এবারে বিজেপির আচরণ নিয়ে অনেকটাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, এদিন মোর্চা প্রতিনিধিদের পাশাপাশি জিএনএলএফের সভাপতি মান ঘিসিং মুখপাত্র নীরব জিম্বা সহ তাদের আরও চারজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

আর এরপরই বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জিএনএলএফের মুখপাত্র বলেন, “গোটা বাংলার মানুষ মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন। আমরা কি তার বাইরে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা প্রতিশ্রুতি দেন তিনি তা রক্ষা করেন। কিন্তু বিজেপি কথা দিয়েও কথা রাখেনি।” সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যে পাহাড়ে এক নতুন সমীকরণ হতে চলেছে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!