এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুনর্গণনার দাবিতে আদালতে বিজেপি, চাপ বাড়িয়ে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন মমতা!

পুনর্গণনার দাবিতে আদালতে বিজেপি, চাপ বাড়িয়ে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সম্প্রতি হাইকোর্টে মামলা করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই তৃণমূলের আরও চার আসনে পরাজিত প্রার্থী সেখানকার ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ মামলা দায়ের করেছেন হাইকোর্টে। নন্দীগ্রাম সহ মোট পাঁচটি আসনের ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আদালতের দ্বারস্থ হতে দেখা গেছে শাসক দলকে।

আর এবার বিজেপির পক্ষ থেকেও বেশ কিছু আসনে পুনর্গণনার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের চার পরাজিত প্রার্থী বিজেপিকে চাপে রাখতে নন্দীগ্রাম, বনগাঁ, গোঘাট, বলরামপুর এবং ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে। যার দিকে নজর রয়েছে গোটা রাজ্যবাসীর।

আর এই পরিস্থিতিতে এবারের নির্বাচনে 200 পাখির চোখ করেও তার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। 77 টি আসন দখল করে বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে তারা। তবে নির্বাচনের ফলাফলের দিন থেকেই এই ফলাফল নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। অনেক আসনে তারা নেট টু নেক ফাইটের জন্য পরাজিত হয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন বিজেপির অনেক পদাধিকারী। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করতেই অল্প ব্যবধানে হারা আসনগুলোতে পুনর্গণনার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে গেরুয়া শিবির। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত টালমাটাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা যেসব আসনে অল্প ব্যবধানে হেরেছি, সেই সেগুলোতে পুনর্গণনা চাইতে আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের উকিলদের টিম চিন্তাভাবনা করছে। কোন কোন আসনের জন্য আদালতে যাওয়া হবে, তা প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছে।” আর এখানেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, নন্দীগ্রাম এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শুধু গোটা রাজ্য নয়, গোটা দেশের কাছে নজরকাড়া কেন্দ্র হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিল। একদিকে এই নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী দাঁড়িয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটে।

তবে নির্বাচনের ফলাফলের দিন ব্যাপক নাটকীয় টানাপোড়েন শুরু হয়। যেখানে প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়লাভ করেছেন বলে জানানো হলেও, পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের কথা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আর তারপরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে 213 টি আসন পেয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসলে ওই নন্দীগ্রাম বিধানসভায় জয় না পাওয়া নিয়ে ব্যাপক হতাশা তৈরি হয়। অবশেষে সম্প্রতি এই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আদালতে মামলা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথ হেঁটে তৃণমূলের আরও চার কেন্দ্রে পরাজিত প্রার্থীরা তাদের বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার পাল্টা শাসক দলকে চাপে রাখতে যে সমস্ত আসনে তারা অল্প মার্জিনে পরাজিত হয়েছেন, সেখানে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে আদালতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে ফলাফল পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে, তারাও যে পাল্টা এই ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি হয়ত বা ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। কিন্তু 77 টি আসন পেয়ে তাদের ভোট অনেকটাই বেড়েছে বাংলায়। বর্তমানে গণতান্ত্রিক পরিসরে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের প্রধান বিরোধী দলের ভারতীয় জনতা পার্টি। নির্বাচনের ফলাফল অনেকদিন আগেই ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু ফলাফলের দিন নন্দীগ্রাম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও, তারপর সেই বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করা শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রতি মুহূর্তে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন। তবে পাল্টা চাপ দিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও যে মামলা দায়ের করা হবে, তা জানিয়ে দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অর্থাৎ শাসকদল পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানালেও, বিজেপি যে একাধিক বিধানসভা কেন্দ্র অর্থাৎ যেখানে তারা অল্প ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন, সেই সমস্ত আসনের পুনর্বিবেচনা করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে, তা দিলীপ ঘোষের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল। যার ফলে তৃণমূলের চাপ অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই ব্যাপারে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে কি শুনানি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!