এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গ্রাম বাংলায় নতুন আতঙ্কের নাম ‘সিভিক-অত্যাচার’? পুলিশ চৌকিতে আগুন কাণ্ডে উঠে এল বিস্ফোরক অভিযোগ

গ্রাম বাংলায় নতুন আতঙ্কের নাম ‘সিভিক-অত্যাচার’? পুলিশ চৌকিতে আগুন কাণ্ডে উঠে এল বিস্ফোরক অভিযোগ


সিভিক ভলান্টিয়ারদের জুুলুমবাজির জেরে বেশ কয়েকমাস ধরেই প্রাণ ওষ্ঠাগত ছিল তুফানগঞ্জবাসীর। নাকা চেকিংয়ের সুযোগ নিয়ে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে রীতিমতো তোলাবাজি করছিল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের একাংশ। মূলত অসমগামী চাল ও সবজি বোঝাই গাড়িগুলোকেই নিশানা করত তারা।

প্রতিবাদ করেও ফল হয়নি কোনো। দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ড জারি রেখেছিল সিভিক পুলিশরা। ফলত শেষমেশ ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে বাসিন্দাদের। তাঁদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ আছড়ে পড়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের উপর। দিন দুয়েক আগে পুলিশের নাকা চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।

পুড়িয়ে দেওয়া হয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মোটর বাইকও। এই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই তারা এমন করেছেন বলে জানান। আগুন ধরানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে থাকা দুটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করেছে।

প্রসঙ্গত,এই ঘটনার সূত্রপাত সোমবার বিকেলে। ট্রাকের সঙ্গে অটোর ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুলকালাম কান্ড বেঁধে যায়। এরপরই উত্তেজিত জনতাদের একাংশ পুলিশের নাকা চৌকিতে এবং এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে,আচমকাই ট্রাকটি গতি বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটছে৷ দুর্ঘটনার পর চালক এবং খালাসি দুজনই পালিয়েছে। গাড়িটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে নয়নাজুলিতে উল্টে যায়। তবে হঠাৎ করে ট্রাকটি কেন গতি বাড়িয়েছিল সেটা স্পষ্ট হয়নি বাসিন্দাদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,নাকা চৌকিতে তোলাবাজির হাত থেকে বাঁচার জন্যে হঠাৎ করে গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল ট্রাকটি। স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবী,সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং পুলিশের একাংশ এই চেকিংয়ের নামে বিকেল থেকেই জুলুমবাজি শুরু করত। ঘটনার দিন সম্ভবত ট্রাকটি সিভিকদের তোলাবাজি এড়াতেই আচমকাই গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল। এর কারণেই ট্রাকটি টোটো,ম্যাজিক গাড়িকে পর পর ধাক্কা দেওয়ার পর অটোর সঙ্গে সংঘর্ষের পর কিছুদূরে উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ঘাতক ট্রাকটি বর্ধমান থেকে চাল নিয়ে অসম যাচ্ছিল। গাড়িটির কাগজপত্রে প্রাথমিকভাবে কোনো গলদ পাওয়া না গেলেও গাড়িটি আচকম কেন গতি বাড়িয়েছিল সে সম্পর্কে পুলিশের সাথে স্পষ্ট কোনো প্রমাণ আসেনি।তুফানগঞ্জের মহকুমা পুলিস আধিকারিক ফারুক মহম্মদ চৌধুরি বলেন, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্রের খবর,এখনো থমথমে হয়ে রয়েছে আক্রান্ত এলাকায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নাকা চৌকি থেকে কিছুটা দূরে একটি হোটেলের সামনে টহল দিচ্ছে পুলিশের একটি বিশেষ টিম। পুলিশের নাকা চেকিংয়ের ঘরটা কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এখনো বাসিন্দাদের রোষের ছবি এদিনও এলাকায় স্পষ্ট ছিল।

পুলিশের ব্যারিকেডগুলিও রাস্তার পাশের নীচু জমিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কয়েকটি হেলমেটও ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে যেখানে সেখানে। যে ঘরটিতে পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা অস্বাস্থীভাবে বিশ্রাম নিতেন সেই ঘরটিকেও তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। বেঁকিয়ে ফেলা হয়েছে দুটি সিলিং ফ্যান। পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রতি বাসিন্দাদের এই আক্রোশের পর আশা করা হচ্ছে এবার হয়তো তুফানগঞ্জ সিভিকদের তোলাবাজি থেকে মুক্ত হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!