এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে না দেওয়ার হুমকি রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর, জোর শোরগোল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে না দেওয়ার হুমকি রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর, জোর শোরগোল

 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হতে শুরু করেছে। তবে কোথাও জ্বলন্ত প্রতিবাদ, আবার কোথাও বা গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করা হচ্ছে। বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে তাদের মত জানাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার পথে নেমে মিছিলের মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে বিক্ষোভকারীরা অশান্তি সহকারে বিক্ষোভ করলেও, তাতে শান্তি আনার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর গলায় শোনা গেল অশান্তির সুর। সূত্রের খবর, জমিয়ত-উলেমা-এ-হিন্দের নেতা তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এবার সরাসরি হুমকি দিলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

জানা গেছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে এদিনের সভায় থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কলকাতার এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই আইন মানবতা বিরোধী, নাগরিক বিরোধী। যারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছেন এই আইন তাদের বিরোধি। তাই এই আইন না তুললে অমিত শাহকে কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে দেব না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এনআরসির বিরুদ্ধে সরব হয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা ইতিমধ্যেই মানুষের কাছে কমেছে। মোদির 56 ইঞ্চি ছাতি দেশের মানুষকে ছোট করেছে। উনি ঘৃনা আর বিভেদের রাজনীতি করছেন। আমরা কোনো হিংসাত্বক প্রতিবাদে বিশ্বাস করি না। তবে আমরা জান-প্রাণ দিয়ে সিএএ আর এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। অমিত শাহ কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে এলে তাকে বের হতে দেব না। লক্ষ লক্ষ লোক নিয়ে আমরা সেখানে যাব।”

আর রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে এখন প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে সওয়াল করেছেন। কিন্তু তার মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য যদি এইভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আটক করে রাখার হুঁশিয়ারি দেয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে দেবে।

যা পরোক্ষে গোটা রাজ্যে অশান্তিকর পরিস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মত একাংশের। তাই রাজ্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর মুখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আটক করে রাখার হুঁশিয়ারি নিতান্তই বেমানান বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!