প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসকে নিয়ে সব থেকে বড় চিন্তার কারণ ছিল এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। আক্রান্তের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়লেও, ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় চিন্তায় পড়েছিলেন সকলে। দেশ-বিদেশের বহু বিজ্ঞানীরা কিভাবে এই ওষুধের মোকাবিলা করা যায় এবং তার জন্য কি ওষুধ তৈরি করা যায়, সেই ব্যাপারে অনবরত পরিশ্রম করে চলেছেন। আর এমন একটা পরিস্থিতি পতঞ্জলি যোগপীঠের পক্ষ থেকে ওষুধ বানানোর দাবি করা হয়েছে। যার ফলে আশার আলো তৈরি হয়েছিল গোটা ভারতবর্ষে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার যোগগুরু রামদেব করোনিল নামে একটি ওষুধের ঘোষণা করেন। কিন্তু এবার এই ওষুধের ঘোষণা করার সাথে সাথেই প্রবল চাপে পড়ল পতঞ্জলি এবং বাবা রামদেব। জানা গেছে, কেন্দ্রের আয়ুস মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই ওষুধের সম্বন্ধে এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণা নিয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আর এতেই ব্যাপক চাপে পড়েছেন রামদেব বলে মনে করছে একাংশ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আয়ুষ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই ওষুধের সম্পূর্ণ তথ্য জানতে উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, এই ওষুধের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার কথাও জানিয়ে দিয়েছে আয়ুষ মন্ত্র। তাদের বক্তব্য, যতদিন না করোনা প্রতিষেধক নিয়ে সম্পূর্ণ তদন্ত হচ্ছে, ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা জারী থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাহলে কি যোগগুরু রামদেবের সংস্থার পক্ষ থেকে করোনা প্রতিষেধক তৈরি করার কথা বলা হলেও, তাতে বিশ্বাস রাখছেন না কেন্দ্রীয় সরকার! অনেকে বলছেন, কেন্দ্র এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ তদন্ত করে সঠিক ব্যাপারটি জেনে নিতে চাইছে।

কেননা যেহেতু বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং যেহেতু করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য সকলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাই যোগগুরুর পক্ষ থেকে সেই করোনা প্রতিষেধক প্রকাশ্যে নিয়ে আসলে তা কতটা কাজে দেয়, তা দেখে নিতে চাইছে ভারত সরকার। আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করার উদ্যোগ নেওয়াতে যোগগুরু রামদেব অনেকটাই যে চাপে পড়বেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রত্যেকে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় মোড় নেয়, সত্যি সত্যিই করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার করে যোগগুরু রামদেব হিরো হয়ে যান, নাকি কেন্দ্রের তদন্তে তিনি চাপে পড়েন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।