এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মঙ্গলে মিটিং, কিন্তু আজকেই কেন দিল্লিতে মমতা! সুকান্তর বক্তব্যে বাড়ছে জল্পনা!

মঙ্গলে মিটিং, কিন্তু আজকেই কেন দিল্লিতে মমতা! সুকান্তর বক্তব্যে বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করা হয় যে, মুখ্যমন্ত্রী যখনই দিল্লি যান, তখনই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন, যাতে তাকে এবং তার ভাইপোকে কোনোমতেই গ্রেফতার করা না হয়। অর্থাৎ একটা সেটিংয়ের গল্প বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই তুলে ধরা হয়। আপনারা সকলেই জানেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রবল বিজেপি বিরোধী। এমনকি তিনি গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে একটা বড় ধাক্কা খেয়েছেন, এটা সকলের চোখের সামনে হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যে বিজেপির সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই, এমনকি দিল্লির রাজনীতিতে তিনি কার্যত অপ্রাসঙ্গিক, সেখানে এক দেশ এক ভোট নিয়ে বৈঠকের একদিন আগেই কেন দিল্লি চলে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়!

তাহলে কি সেটিংয়ের কোনো গল্প রয়েছে নাকি? বিরোধী জোটে গুরুত্ব পেতেই বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলার জন্যই একদিন আগে দিল্লি চলে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী! এই সমস্ত বিষয় নিয়েই যখন চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে, ঠিক তখনই গোটা বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত হতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। তার বক্তব্যের পর এই প্রশ্ন আরও জোরালো হতে শুরু করেছে যে, সত্যিই কি তাহলে বাঁচার জন্য এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে গোপনে গোপনে সেটিংয়ের রাস্তায় হাঁটবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কিন্তু কি এমন বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি?

প্রসঙ্গত, আজকেই সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল এক দেশ এক ভোট নিয়ে একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে যোগ দেবেন তিনি। কিন্তু যে দিল্লির সঙ্গে তার রাজনীতির কার্যকলাপের কোনো বিন্দু বিসর্গ সম্পর্ক নেই, সেখানে কেন একদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিল্লি চলে যাচ্ছেন! তিনি দিল্লি গিয়ে যে চুপচাপ বসে থাকবেন না, সেই সম্পর্কে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। তাহলে তিনি কি করবেন! আজকের সন্ধ্যায় দিল্লিতে তার কি কর্মসূচি রয়েছে? এদিন এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কালকের মিটিং রয়েছে। কিন্তু তিনি একদিন আগেই আজকের সন্ধ্যাতেই দিল্লি চলে আসছেন, এটা একটা চিন্তার বিষয়।” আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকেও একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে বা বঙ্গ বিজেপির নেতারা কি এই খবর পেয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী এবার নিজে বাঁচার জন্য বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারেন! তাই সেই বিষয় নিয়ে তিনি চিন্তিত বা তার কাছে এরকম খবর রয়েছে, ঘুরিয়ে কি সেই দিকেই ইঙ্গিত করতে চাইলেন সুকান্ত মজুমদার?

অনেকে বলছেন, যদি এমনটা হয়ে থাকে, আর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাদরে গ্রহণ করে নেন বা তাকে গ্রিন সিগন্যাল দেন যে, তার গায়ে আঁচ হবে না, তাহলে বড় ভুল করবে গেরুয়া শিবির। কারণ বাংলায় বিজেপির নেতাকর্মীরা এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কারণে আক্রান্ত হবেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভেতরে ভেতরে গিয়ে সেটিং করে নেবেন, দুটো একসাথে চলতে পারে না। তাহলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বঙ্গ বিজয়ের স্বপ্ন ভুলে যেতে হবে। বাংলায় বিজেপির সংগঠন নিয়ে মাতামাতি বন্ধ করে দিতে হবে চিরতরে। আর যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বাঁচবার জন্য, নিজের দলকে রক্ষা করবার জন্য বিজেপির হাইপ্রোফাইল নেতাদের সঙ্গে দেখার চেষ্টা করেন এবং বিজেপির পক্ষ থেকে তাতে না করে দেওয়া হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় বিজেপির যেমন মঙ্গল, ঠিক তেমনই রাজ্য বিজেপিও এতে যথেষ্ট খুশি হবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিতে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক। তার দল এখন সর্বভারতীয় দল নয়, একটি আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। তারপরেও একটি বৈঠকের আগের দিন এক রাতে তার দিল্লিতে থাকা চিন্তায় রাখছে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বকে্ সকলের মনেই একটা কৌতূহল তৈরি হয়েছে, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন যে, এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে পড়তে হতে পারে! তাই বাঁচার জন্যই কি একদিন আগে দিল্লি গিয়ে তিনি বিজেপি নেতৃত্বের পায়ে পড়ে একটা সেটিংয়ের রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করবেন! যদি তাই হয়, তাহলে তা অবশ্যই বঙ্গ বিজেপির কাছে চিন্তার কারণ। আর যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যাত করে “আইন আইনের পথে চলবে” বলেই জানিয়ে দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তাহলে আগামী দিন একটা বড় কিছু হতে চলেছে বাংলার রাজনীতিতে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!