এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ক্ষমতার লোভেই দল ছাড়ছে যুবক নেতারা দাবী নেত্রীর, শোরগোল চরমে !

ক্ষমতার লোভেই দল ছাড়ছে যুবক নেতারা দাবী নেত্রীর, শোরগোল চরমে !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট রাজস্থানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে চরম উত্তেজনাপূর্ণ। সম্প্রতি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের প্রবল রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চোখে পড়ে। যার ফলে ইতিমধ্যেই শচীন পাইলট বেশকিছু অনুগামী বিধায়ককে নিয়ে রাজস্থান ছাড়েন। এই অবস্থায় রাজস্থানের এবার কি পরিণতি হতে চলেছে সেদিকেই এখন টানটান নজর সবার। অন্যদিকে রাজস্থানের পরিস্থিতির সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে কিছুদিন আগের মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির।

সেসময় কমলনাথ সরকারের পতন ঘটে কংগ্রেস বিধায়ক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার হাত ধরে। শচীন পাইলটকে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শচীন পাইলট কি অবশেষে কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান করতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে? এখনো পর্যন্ত এ নিয়ে স্পষ্ট কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, শচীন পাইলট নিজস্ব দল তৈরি করে এবার কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর চাপ বাড়াতে চলেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে কিছু কংগ্রেস বিধায়কদের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মার্গারেট আলভা এবার কড়া মন্তব্য করলেন।

এব্যাপারে প্রথমেই তিনি শচীন পাইলটের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন এবং বলেন, যে সময় সারাদেশ করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ছে এবং ভারত একটি আন্তর্জাতিক সমস্যার সম্মুখীন ঠিক সেই সময় শচীন পাইলট যেভাবে কংগ্রেস অন্দরে বিদ্রোহ করলেন তা যথেষ্ট লজ্জাজনক। মার্গারেট আলভা এদিন শচীন পাইলটকে কটাক্ষ করে বলেছেন, তরুণ নেতা হিসেবে তাঁর সমাজের সামনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার প্রয়োজন ছিল। তা না করে তিনি দল ভাঙার খেলায় মেতেছেন।

শচীন পাইলট এর দল ছাড়ার প্রসঙ্গে এদিন মার্গারেট আলভা একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেন, শচীন পাইলট মাত্র 26 বছর বয়সে সাংসদ হয়েছেন। এর সাথে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রীও করা হয়। চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের সাথে তাঁকে রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি যেভাবে দলে ভাঙ্গন ধরালে তা যথেষ্ট লজ্জাজনক। সম্প্রতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে বিদ্রোহের প্রসঙ্গে রাজস্থানের প্রাক্তন রাজ্যপাল মার্গারেট আলভা মুখ খুলেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি তখন বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস একটা বড় দল। এখানে অনেক রাজ্য রয়েছে। সবার দাবি মানা যায় না। ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর সময়ে কারও সাহস ছিল না, নিজের জন্য কোনও পদ চাওয়ার।’ তবে বর্তমানে রাজনীতিবিদরা যে কোন আদর্শে বিশ্বাসী নন তা বলে রীতিমত কটাক্ষ করেন এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী। উপরন্তু তিনি কংগ্রেস ছেড়ে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদেরকে কটাক্ষ করে বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে আদর্শের কোন দাম নেই। দলের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করেই তাঁরা নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিজেপি শিবিরে যোগ দিচ্ছে।

তবে কংগ্রেস নেতাকে আশাবাদী শুনিয়েছে নিজের দলের প্রতি অনেক বেশী। তিনি জানান, কংগ্রেস দেড়শ বছরের পুরনো দল। সময়ের সাথে সাথে কংগ্রেস ক্ষমতায় থেকেছে আবার পড়েছে। তবে কংগ্রেসকে শেষ করার ক্ষমতা এখনো পর্যন্ত কোনো দলেরই নেই। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন, বর্তমানে কংগ্রেসের তরুণ এবং প্রতিভাবান নেতাদের দলে নিয়ে এসে নতুন করে আবার কংগ্রেসকে তৈরি করা উচিত। কারণ নতুনরাই পারবে কংগ্রেসকে আবার নতুন করে সমস্ত রাজ্যে টেনে তুলতে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের ক্ষমতা ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। একের পর এক রাজ্য দখল করে নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। এই অবস্থায় কংগ্রেসের ভেতরে মাথাচাড়া দিচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই যেসব রাজ্যে কংগ্রেস টিমটিম করে ক্ষমতার আসন ধরে রেখেছিল সেগুলোও এবার হাতছাড়া হতে চলেছে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভার বক্তব্য যে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য, সে কথা মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!