এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর ডাক্তারি যদি বাংলার মানুষ শোনেন, তাহলে রাজ্যে মহামারী লাগতে দেরী হবে না: অধীর

মুখ্যমন্ত্রীর ডাক্তারি যদি বাংলার মানুষ শোনেন, তাহলে রাজ্যে মহামারী লাগতে দেরী হবে না: অধীর

যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে করোনার প্রভাব। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই এমতাবস্থায় এতদিন করোনা উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে সরকারি আইসোলেশন রাখা হত। কিন্তু এক্ষেত্রে এবার কিছুটা বদলে নিয়েছে সরকার। গত সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কারও বাড়িতে যদি পৃথক ঘর থাকে, তাহলে তারা সেখানেই আইসোলেশন করে থাকতে পারেন।”

আর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরেই নানা মহলে শোরগোল পড়ে যায়. করোনার মত ভয়াবহ রোগের যেখানে কোনো প্রতিষেধক নেই, সেখানে কেন সরকারপক্ষ বাড়িতে থাকতে নির্দেশ দিচ্ছে? যেখানে মানুষ সব সময় বাইরে বেরোনোর জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন, সেখানে এক বাড়ির মধ্যে যদি কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী থাকেন, তাহলে তার সংস্পর্শে যে তার বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা আসবে না, এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা কোথায়!

আর এবার এই প্রশ্ন তুলে ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রসঙ্গত, গত সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিজের বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইন করতে পারবেন। তাকে তুলে আনতে হবে না। যাদের আশ্রয় রয়েছে, বাড়ি রয়েছে, তাদের কারো করোনা হলে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইন করে রাখা যাবে। হোম কোয়ারেন্টাইন সবচেয়ে ভালো মডেল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও জানান, “সকলেই চান নিজের বাড়িতে থাকতে। ফলে যদি কেউ মনে করেন, তাহলে তারা বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করাতে পারবেন। স্বাস্থ্য দপ্তর গোটাটা মনিটরিং করবে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বাড়িতেই চিকিৎসা হতে পারে।” আর এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য খণ্ডন করে তাকে পাল্টা কটাক্ষ করেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, “করোনা সংক্রমণ হলে বাড়িতে থাকার জ্ঞান লোককে দেবেন না। তাহলে বিশেষজ্ঞদের সমস্ত পরামর্শ ভ্রান্ত হয়ে যাবে। টেস্টিং করো, আইসোলেটেড করো, চিকিৎসা করো।”

তিনি আরও বলেন, “এটা চিকিৎসকদের ব্যাখ্যা। আমার বা কংগ্রেসের ব্যাখ্যা নয়। সেখানে তারা যদি শোনেন যে করোনা রোগীকে বাড়িতে রেখে দেওয়ার কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাহলে তারা অজ্ঞান হয়ে যাবেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর ডাক্তারি যদি বাংলার মানুষ শোনেন, তাহলে রাজ্যে মহামারী লাগতে বেশি দেরি হবে না।” জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে এই ঘোষণা করার পরেই সেই একই পথে হেঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এবার রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী।

যা করোনা ভয়াবহতার মধ্যে শাসক-বিরোধী তরজাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, অধীর চৌধুরী ঘোষিতভাবেই মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধী। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তিনি সেভাবে রাজ্যের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। কিন্তু রাজ্যের বাইরে আটকে থাকা শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে সরকারি সাহায্য না পেয়ে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখন থেকেই বাড়ছিল ক্ষোভ আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর আইসোলেশন কথার পর সেই ক্ষোভ আর চেপে রাখতে পারলেন না অধীরবাবু। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!