মুকুল রায়ের হাত ধরে কি এবার শাসকদলে বড়সড় ভাঙ্গন? জল মাপছে সবাই বিশেষ খবর রাজ্য November 3, 2017 মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিতেই নতুন করে খাতা কলম নিয়ে হিসেবে বসে গেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। একদা তৃণমূলের অঘোষিত দুনম্বর রাজ্যের বর্তমান অঘোষিত প্রধান বিরোধী দলে যোগ দিচ্ছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ানোর জন্য এইটুকুই যথেষ্ট। কিন্তু এরসঙ্গে যোগ হয়েছে আরো কয়েকটি ফ্যাক্টর। ফ্যাক্টর নম্বর এক, সারদা-নারদ-রোজভ্যালি সহ একাধিক আর্থিক দুর্নীতিতে শাসকদলের একাধিক প্রথম শ্রেণীর নেতার নাম জুড়ে যাওয়া। ফ্যাক্টর নম্বর দুই, বিজেপির বাংলার রাজ্য নেতৃত্ত্বে সেরকম কোনো সাফল্য পাওয়া পরীক্ষিত নেতা নেই। বর্তমান নেতৃত্ত্ব যথেষ্ট ঘাম ঝরাচ্ছেন, কিন্তু তা বাংলার মসনদে গেরুয়া পতাকা ওড়াবার জন্য যথেষ্ট নয়, বিশেষ করে বর্তমান শাসকদলে বুথস্তর পর্যন্ত যেসব নেতা আছেন তাঁরা ‘ভোটটা করতে’ জানেন। ফ্যাক্টর নম্বর তিন, অন্যদল থেকে ঠিক সময়ে ঠিক নেতাকে নিজের দলে আনতে সিদ্ধহস্ত মুকুল রায়। আর তাই সংগঠনের শূন্যস্থান পূরণে তাঁর মাস্টারস্ট্রোকের অপেক্ষায় রাজ্য বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায় হাতে গেরুয়া পতাকা নিতেই দার্জিলিং থেকে দীঘা, পুরুলিয়া থেকে ২৪ পরগনা শাসক-বিরোধী নির্বিশেষে চর্চা এখন একটাই, মুকুল রায়ের হাত ধরে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম হাতে তুলে নেবেন কারা? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগদানের কারন এইটাই। তিনি নিজে পৃথক রাজনৈতিক দল খুললে তা হত আঞ্চলিক আর সেই দল কতদূর কি করতে পারে এই সন্দেহ থাকায় অনেকেই কথা দিয়েও হয়তো শেষ মুহূর্তে মুকুল বাবুর হাত ধরতে দ্বিধা করতেন। কিন্তু বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলের ছত্রছায়ায় আসতে অনেকেই নিজে থেকে যোগাযোগ করবেন।তাই শুধু শাসকদলের কোনঠাসা নেতারাই নন, মুকুলবাবুর হাত ধরে বিরোধীদলের একটা বড় অংশ এবার গেরুয়া শিবিরে আসতে চলেছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা আর এই ধারণাতে সিলমোহর পড়তে চলেছে আগামী ১০ ই নভেম্বর বিজেপির শহীদ মিনারের সভা থেকেই। বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি যে কত তা ফ্যাক্টর সেদিন থেকেই নাকি প্রমান দিতে শুরু করবেন মুকুল রায়। আপনার মতামত জানান -