এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অত্যন্ত সঙ্কটজনক অটল বিহারি বাজপেয়ী, দেখতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বিজেপির সব মিটিং বাতিল

অত্যন্ত সঙ্কটজনক অটল বিহারি বাজপেয়ী, দেখতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বিজেপির সব মিটিং বাতিল


গভীর সঙ্কটজনক অবস্থায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। রাজধানীর দিল্লীর এইমস হাসপাতালে বেশ কিছুদন যাবত ভর্তি রয়েছেন এই প্রবীন বিজেপি নেতা। তাঁর শারীরিক অবস্থার দিন দিন অবনতির কারণে বর্তমানে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এই খবর পাওয়া মাত্রই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানার পরেই বিজেপির তরফে সমস্ত বৈঠক সরকারিভাবে বাতিলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে দলীয় স্তরে।

প্রসঙ্গত, বিগত দু মাস অটল বিহারী বাজপেয়ী চিকিৎসার প্রয়োজনে এই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গত মঙ্গলবার থেকে হঠাৎই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বুধবার পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। মঙ্গলবার থেকেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণের জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

এদিন নরেন্দ্র মোদী হাসপাতালে গিয়ে সেই বোর্ডের চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেছেন। জানা গিয়েছে, মূত্রনালিতে সংক্রমণের জেরে চরম সঙ্কটজনক অবস্থায় ৯৩ বছয় বয়েসী এই বিজেপি নেতা। তাঁর কিডনি পুরোপুরি কার্যক্ষমতা হারিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিন মেডিক্যাল বুলেটিনের পরেই প্রধানমন্ত্রী এইমস থেকে বেরিয়ে যান।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য ১৯৯৬ সালে সাকুল্যে ১৩ দিনের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হলেও দ্বিতীয়বারের জন্য পাকাপাকি ভাবে ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। তিনি একটানা ২০০৪ সাল অবধি এই পদের দায়িত্বভার পালন করেন। তাঁর আমলেই কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকার গঠনকারী দল ছিলো বিজেপি এবং তিনি ছিলেন কেন্দ্রের এনডিএ জোটের প্রধানমন্ত্রী।

তাঁর আমলের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার মধ্যে অন্যতম হলো ভারত-পাক মৈত্রীতে নয়া যোগসূত্রের সূচনা। এই সময়ে দেশের সব থেকে বড় সমস্যা ছিলো কার্গিল সমস্যা। অটলবিহারী বাজপেয়ী তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতার মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষ হাতে এই সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান করেছিলেন। তাঁর শাসনকালে অর্থাৎ ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে তাঁরই উদ্যোগে দিল্লি থেকে লাহোরের উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক সমঝোতা এক্সপ্রেস চালু করা হয়।

২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ কাল শেষ হলে এই প্রবীন নেতা সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যেতে থাকেন। বিগত ১০ বছরে দলীয় বৈঠকেও তাঁকে সেভাবে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি শারীরিক অসুস্থতার কারণে। এমনকি ২০১৪ সালে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করলেও নির্বাচনে আর লড়াই করেননি এই প্রবীণ বিজেপি নেতা। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ অটল বিহারি বাজপেয়িকে, লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পরে ভারতবর্ষের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী বলে আখ্যা দেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!