এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার তৃণমূলে ‘উত্তরাধিকারী’ কে? অভিষেক-পিকে যুগলবন্দীতে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল দলের অন্দরেই!

মমতার তৃণমূলে ‘উত্তরাধিকারী’ কে? অভিষেক-পিকে যুগলবন্দীতে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল দলের অন্দরেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল দলের কান্ডারী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভবিষ্যতে এই দলের দায়িত্ব তিনি কার হাতে তুলে দেবেন। তাঁর অবর্তমানে কে এই দলের গুরু দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেবেন? কে হবেন তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী? এই সমস্ত প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর এড়িয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ” বাংলার মানুষ আমার পরিবার। বাংলার মানুষের উপর আমি কোনও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগ করিনি। আমি পাঁচটি প্রজন্ম তৈরি করছি, যাঁরা আগামী দিনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”

তবে গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানের পর কিছুটা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের সাফল্যের জন্য প্রশান্ত কিশোরকে দলের কৌশল, নীতি নির্ধারণের জন্য আনা হয়েছে। শোনা গেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরামর্শ করেই তৃণমূল দলের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন পিকে।

এই ঘটনার পর তৃণমূল দলের অন্তর থেকেই গুঞ্জন ওঠে যে, তবে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দলের আগামী দিনের কান্ডারী করতে চান? আবার অনেকেই মনে করছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন পিকে। পিকের রিপোর্টের মাঝেও অভিষেকের প্রভাব স্পষ্ট বলে একাধিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞর মতামত।

তৃণমূলের একটা বড় অংশের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ ফুটে উঠেছে। তারা মনে করছেন, ২০২১ এর নির্বাচনের পূর্বে দলের সংগঠন মুজবুত করতে গিয়ে এমন কিছু ভুল সিদ্ধান্ত দল নিচ্ছে, যার ফলশ্রুতি আগামী দিনে ভুগতে হবে শাসকদলকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর অনুগামীদের দলে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন যারা, কৌশলে তাদের দুর্বল করে দেয়া হচ্ছে। অনেকের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন অনেক কথা পাওয়া যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একটা সময় বলতে শোনা যেত, তৃণমূল দলে একজন মাত্র নেত্রী আছেন, আর বাকি সবাই সৈনিক। বিরোধিরা ব্যঙ্গ করে বলতো, তৃণমূলে একটি পোস্ট বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূলের বেশকিছু বিক্ষুব্ধ সদস্যকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল আর একনেত্রীর দল নেই। পরিবর্তে দলের দুটি ভরকেন্দ্র তৈরি হয়েছে। নতুনভাবে ক্ষমতাশালী উঠেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, তবে ভবিষ্যতে কি তৃণমূলের কান্ডারী তিনিই হবেন?

তৃণমূল দলের বেশ কিছু সমর্থক মনে করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করতেই শুভেন্দু অধিকারীকে দুর্বল করা হয়েছে। সম্প্রতি দূরত্ব বেড়েছে তাঁর দলের সঙ্গে। মন্ত্রিত্ব পালন করলেও দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেকটাই ঢিলে ঢালা হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক হিসেবে কর্মরত ও দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞ নেতাদের পদচ্যুত করা হয়েছে। জেলায় জেলায় চেয়ারম্যান, জেলা সভাপতির বদল ঘটছে, কোঅর্ডিনেটর আনা হচ্ছে, সেই সঙ্গে সাত সদস্যের একটি স্টিয়ারিং কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যে কমিটির শীর্ষ স্থানে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর ফলে তৃণমূল দলের বেশ কিছু সদস্যের মনে বিক্ষভের কালো মেঘ জমেছে। জনমানসে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তৃণমূল দলের কিছু সদস্য ফেসবুকে লিখতে শুরু করেছেন, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো-প্রীতি বা ভাইপোর উপর দল ছেড়ে দেওয়া বুমেরাং হতে পারে। একজন বিচক্ষণ রাজনীতিক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা উচিত দলের কী ক্ষতি হচ্ছে! “

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!