বাংলায় পুলিশের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে! ক্ষোভের আঁচ আছড়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও! কলকাতা রাজ্য May 21, 2020 বিরোধীদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করা হচ্ছে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিরোধীদের অভিযোগ চরমে ওঠে। আর বর্তমানে যখন করোনা পরিস্থিতিতে সেই পুলিশকর্মীরা নিজের জীবনকে বাজি রেখে প্রতিমুহূর্তে কাজ করছেন, ঠিক সেই সময়ই সেই পুলিশ কর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে এল। যেখানে নিজের বাড়ি থেকে প্রায় 300 কিলোমিটার দূরে বদলি হওয়ায় রীতিমত ফেসবুকে সরব হচ্ছেন পুলিশকর্মীদের একাংশ। শুধু তাই নয়, কেন তাদের এত দূরে বদলি করা হল, তা নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে সেই পুলিশকর্মীদের পরিবারের তরফে বিভিন্ন দাবি এবং বিক্ষোভ করতেও দেখা যাচ্ছে। বস্তুত দুর্গাপূজা থেকে শুরু করে এই দুর্যোগ থেকে শুরু করে বন্যা প্রায় সব সময় কাজ করতে হয় পুলিশকর্মীদের। তবে বাড়ির পাশে যদি তাদের ডিউটি দেওয়া হয়, তাহলে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হন তারা। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর জানানো হয়েছিল যে, যাদের 15 বছরের বেশি চাকরি হয়ে গিয়েছে, তাদের নিজেদের জেলায় বা কম সময়ে কর্মরতদের পার্শ্ববর্তী জেলায় বদলি করা হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে যেভাবে পুলিশকর্মীদের দূরে বদলি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে রীতিমত তাদের পরিবারের তরফে উগড়ে দেওয়া হচ্ছে ক্ষোভ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, যে পুলিসকর্মীর বাড়ি মুর্শিদাবাদে, তাকে পাঠানো হয়েছে বসিরহাটে। আর যার বাড়ি বসিরহাটে, তাকে মালদহে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এক পুলিস কর্তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরব হয়েছেন অনেক পুলিশ কর্মী এবং তাদের পরিবারেরা। এদিন ফেসবুকে এক পুলিশ কনস্টেবল লেখেন, “আমরা কতটুকু ছুটি পাই, তা সকলেই জানেন। এভাবে পরিবার থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দিলে আমাদের মানসিকতা কি হবে, সেটা ভেবে দেখা হল না!” অন্যদিকে আর একজন লিখেছেন, “বিদেশে কর্মরত ছেলের বাবা মায়ের দায়িত্ব নিয়ে দেখভাল করা আমাদের ডিউটি। আমাদের বাবা-মায়ের দায়িত্ব কে নেবে!” বিশেষ সূত্র মারফত খবর, পুলিশকর্মীদের দূরে বদলি করার পেছনে সবথেকে বড় ভূমিকা রয়েছে ডিআইজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রণব দাসের। আর নাম না করে তার বিরুদ্ধেই সরব হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। এদিন সেই প্রণববাবুকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোনটি কেটে দেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশকর্মীরা যদি তাদের ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন, তাহলে তা নিঃসন্দেহে রাজ্যের আইনশৃংখলার ক্ষেত্রে বিপদজনক। কেননা এই পুলিশকর্মীরা জনতা জনার্দনকে প্রতিমুহূর্তে অতন্দ্র প্রহরীর মত বিপদ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। ফলে সেদিক থেকে তারা যদি এইভাবে বিক্ষোভ শুরু করেন, শুধুমাত্র তাদের বাড়ির কাছে ডিউটি পাওয়ার জন্য, তাহলে নিঃসন্দেহে রাজ্য প্রশাসনের চাপ বাড়তে শুরু করবে। যা বর্তমান পরিস্থিতিকে সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে একাংশ। এখন পুলিশকর্মী এবং তাদের পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই পুলিশকর্মীদের বাড়ির কাছে ডিউটি দেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -